জীবননগর ব্যুরো: জীবননগর উপজেলার বাজদিয়ায় জামায়াতে ইসলামীর মহিলা কর্মীদের মারপিটের প্রতিবাদে গতকাল বুধবার বিকেলে উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। জীবননগর উপজেলা নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামী সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী অধ্যাপক খলিলুর রহমান তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, বিভিন্ন সময় ক্ষমতাসীন দলেন কর্মীরা তার কর্মীদের বিভিন্নভাবে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে আসছে। এসব বিষয় স্থানীয় প্রশাসনকে মৌখিকভাবে অবহিত করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো বলেন, হুমকি ধামকির ধারাবাহিকতায় গতকাল বুধবার বেলা ১০টার দিকে জামায়াতের ৩ জন মহিলা কর্মী উপজেলার বাজদিয়া উত্তরপাড়ায় ভোট চাইতে গেলে ওই গ্রামের সরকারদলীয় ক্যাডার শহিদুল ইসলাম ও বজলুর রহমানসহ বেশ কয়েকজন মহিলাকর্মীদের ওপর বাঁশের লাঠি নিয়ে হামলা চালিয়ে বেদম প্রহার করে রক্তাক্ত জখম ও টেনে হেঁচড়ে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। এ সময় তারা এ নির্বাচনী মাঠ ছেড়ে চলে যাওয়ার হুমকিসহ প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করে। মারধরের পর স্থানীয় গ্রামবাসীরা তাদেরকে উদ্ধার করে।
এহেন পরিস্থিতিতে আমরা মনে করি সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তড়িৎ পদক্ষেপে গ্রহণসহ প্রার্থী, ভোটার ও কর্মীদের নিরাপত্তা বিধান করা অতীব জরুরি হয়ে পড়েছে। অন্যথায় নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নষ্ট এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়।
সাংবাদিক সম্মেলনে নিরপরাধ জামায়াত নেতা হাসাদাহ ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর আমির কামাল উদ্দীনকে হাসাদহ বাজারে ভোট চাওয়ার সময় গ্রেফতার করে। তার বিরুদ্বে কোনো মামলা নেই। আমরা তার নিঃস্বার্থ মুক্তি দাবি করছি এবং ওই ঘটনায় প্রতিবাদ জানাচ্ছি ও জামায়াতের মহিলা কর্মীদের ওপর হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করে বিচারের দাবি জানাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে চুয়াডাঙ্গা জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির আনোয়ারুল হক মালিক, সহকারী জেলা সেক্রেটারি রুহুল আমিন, হাইকোর্টের আইনজীবি এসএম শাহজাহান কবির ও জীবননগর পৌর আমির মাও. সাজেদুর রহমান প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।