পুলিশ জনপ্রতিনিধির সামনে স্বীকার : মেহেরপুরে অসহায় মহিলার চুরি যাওয়া টাকা ৩ মাসেও উদ্ধার হয়নি

মেহেরপুর অফিস: মেহেরপুর শহরের ওয়াপদা মোড় এলাকায় হোটেলে দুপুরের খাবার খেতে গিয়ে মহিলার গায়েব হওয়া ৪০ হাজার টাকা আজও উদ্ধার হয়নি। ৩ মাস পার হলেও গায়েব হওয়া টাকা না পেয়ে অসহায় মহিলা হতাশ হয়ে পড়েছেন। আটক হোটেলের মালিক-কর্মচারীরা স্থানীয় জনতা ও পুলিশের সামনে স্বীকার করার পরও টাকা কেন উদ্ধার করা যায়নি তা নিয়ে ধুম্রজালের সৃষ্টি করেছে। আদালতে মামলা হলেও থানা পুলিশের তদন্তে অগ্রগতি নেই বলে জানালেন বাদী জুলেখা খাতুন।

জানা যায়, মেহেরপুর শহরের মুখার্জীপাড়ার মিজানুর রহমানের স্ত্রী জুলেখা খাতুন গত ৯ ডিসেম্বর সোনালী ব্যাংক শাখা, মেহেরপুর থেকে ৩৫ হাজার টাকা তোলেন। এছাড়া নিজের কষ্টে গোছানো আরো ৫ হাজার টাকা মোট ৪০ হাজার টাকা নিয়ে ওই দিন গাংনীর গাড়াডোব গ্রামে ইট কিনতে যাওয়ার পথে মেহেরপুর ওয়াপদার মোড় এলাকার রহমত আলীর হোটেলে খাবার খেতে ঢোকেন। ভাত না পেয়ে নাস্তা খাওয়া শেষে বিল পরিশোধ করার আগে কৌশলে তার টাকার ব্যাগ চুরি করে নেয় হোটেল মালিক-কর্মচারীরা। ওই সময় জুলেকার চিৎকারে স্থানীয় লোকজন হোটেল মালিক রহমত আলী, তার ছেলে মেহেরুল্লাহ ও হোটেল কর্মচারী বাবুকে আটক করে মারধর করে। মেহেরপুর থানা পুলিশ অলৌকিকভাবে ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদের আটক করে।

হোটেলের কর্মচারী জহুরুল ও জাহাঙ্গীর জানায়, হোটেল মালিক পক্ষ টাকার ব্যাগ চুরি করেছে। স্থানীয় জনতা ও পুলিশের সামনে তারা টাকা নিয়েছে বলে স্বীকার করলেও আমঝুপি ইউনিয়নের দীঘিরপাড়ার মেম্বার জাফর ইকবাল দায়িত্ব নিয়ে টাকা আদায় করে দেয়া কথা বললে পুলিশ তাদের ছেড়ে দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। এরপরও ওই টাকা উদ্ধার না হওয়ায় গত ১৫ ডিসেম্বর জুলেখা খাতুন মেহেরপুর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটা মামলা দায়ের করেন। আদালত বিষয়টির তদন্তভার মেহেরপুর থানা পুলিশে দায়িত্ব দিলেও এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানা পুলিশের পক্ষ থেকে তেমন কোনো আগ্রগতি নেই বলে জানান মামলার বাদী জুলেখা খাতুন।

এ ব্যাপারে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মেহেরপুর থানা পুলিশের এসআই দুলুর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, টাকা উদ্ধারের জোর প্রচেষ্টা চলছে।