হাজি মোজাম্মেল হক ও শামসুজ্জামান দুদুর যুক্ত বিবৃতি

চুয়াডাঙ্গার ৪টি উপজেলায় বিএনপির প্রার্থী নির্ধারণে

অহিদুলের দাবি ভিত্তিহীন ও এখতয়ার বহির্ভ

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সভাপতি হাজি মো. মোজাম্মেল হক ও সাধারণ সম্পাদক শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, চুয়াডাঙ্গা জেলার ‘৪টি উপজেলায় বিএনপির একক প্রার্থী নির্ধারণের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি আমি’ বলে অহিদুল ইসলাম বিশ্বাস যে দাবি করেছেন তা ভিত্তিহীন ও এখতেয়ার বহির্ভুত।

বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, উপজেলা নির্বাচন দলীয়ভাবে হয় না। তাই এক্ষেত্রে দলীয় মনোনয়ন বা প্রার্থী নির্ধারণের প্রশ্নই আসে না। উপজেলা নির্বাচনে কোন প্রার্থীকে সমর্থন দেয়া হবে তা সংশ্লিষ্ট উপজেলা ও পৌর বিএনপি আলাপ আলোচনার মাধ্যমে ঠিক করেছে। কেন্দ্রীয়ভাবে বিএনপি কাউকে মনোনয়ন দিচ্ছে না বা এ ব্যাপারে কাউকে তথাকথিত দায়িত্ব দেয়ার প্রশ্নই ওঠে না।

সারাদেশে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীদের ব্যাপারে খোঁজখবর নেয়ার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে ৪ জন যুগ্মমহাসচিব যথাক্রমে বরকত উল্লাহ বুলু, মো. শাহজাহান, সালাহউদ্দীন আহমেদ ও অ্যাড. রুহুল কবির রিজভীর সমন্বয়ে কেন্দ্রীয় মনিটরিং সেল গঠন করে দিয়েছেন। ওই মনিটরিং সেল সংশ্লিষ্ট জেলা কমিটির সাথে যোগাযোগের মাধ্যমে প্রার্থীদের বিষয়ে যাবতীয় খোঁজখবর রাখছেন।

অহিদুল ইসলাম বিশ্বাস চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির কোনো দায়িত্বশীল নেতা নন। তার কাছে কোনো উপজেলায় প্রার্থী নির্ধারণের দায়িত্ব দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দিয়েছেন একথা চরম মিথ্যাচার ছাড়া আর কিছুই নয়। অহিদুল ইসলাম বিশ্বাস বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য। তিনি চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির কোনো দায়িত্বে নেই। তবুও নিজেকে বিভিন্ন সময় জেলা বিএনপির সভাপতি হিসেবে পরিচয় দিয়ে একের পর এক দলের গঠনতন্ত্র ও স্বার্থবিরোধী কাজ করে চলেছেন। তার এহেন অপকর্মের মাধ্যমে জেলায় দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে এবং এর ফলে ক্ষমতাসীনরা লাভবান হচ্ছে। যারা দলের নাম ভাঙিয়ে দলের অপূরণীয় ক্ষতি করার কাজে ব্যস্ত রয়েছেন তাদের ব্যাপারে চুয়াডাঙ্গা জেলার সকল স্তরের বিএনপির নেতাকর্মী-সমর্থক ও ভোটারদের সতর্ক থাকার জন্য মোজাম্মেল হক ও শামসুজ্জামান দুদু আহ্বান জানিয়েছেন।