চুয়াডাঙ্গা শান্তিপাড়ার লাইফ কেয়ার ফার্মায় উত্তেজিত এলাকাবাসীর ভাঙচুর

 

ভুয়া ডাক্তার সবুজের সহযোগী হারুনের শাস্তি দাবি

মাহমুদ কামরান/উজ্জ্বল মাসুদ: ভুয়া ডাক্তারের সহযোগী হারুন অর রশিদের ফার্মেসিতে ভাঙচুর চালিয়েছে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। পরে তারা ওই ফার্মেসিতে তালা লাগিয়ে দেয়। অভিযুক্ত ডাক্তার নামধারী হারুন অর রশিদ গাঢাকা দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী। এতোদিন হারুন অর রশিদকে তারা ডাক্তার ভাবলেও হঠাত করে তার ফার্মেসির সাইনবোর্ড থেকে ডাক্তার শব্দটি মুছে ফেলায় এলাকাবাসীর সন্দেহ হয় হারুন অর রশিদকে নিয়ে।

            সূত্র জানায়, চুয়াডাঙ্গা সাদেক আলী মল্লিকপাড়ার হারুন অর রশিদ বছর দুয়েক আগে পৌর এলাকার শান্তিপাড়া স্কুলমোড়ে লাইফ কেয়ার ফার্মা নামের একটি ফার্মেসি দিয়ে ব্যবসা শুরু করেন। ফার্মেসির ওপরে যথারীতি সাইনবোর্ড টানিয়ে দেন। তাতে তিনি নামের আগে ডা. শব্দ ব্যবহার করে চিকিৎসাও দিয়ে আসছিলেন। সম্প্রতি তার কাছে নোয়াখালী থেকে আসেন এক ভুয়া ডাক্তার। নাম সবুজ আহাম্মেদ ওরফে নিলয় চৌধুরী। সেখানে দুজন মিলে বেশ কিছুদিন চিকিৎসা দেন রোগী সাধারণকে। এক পর্যায়ে গত বৃহস্পতিবার চুয়াডাঙ্গার গ্রিন লাইফ মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসা দেয়ার সময় ভুয়া ডা. সবুজ আহাম্মেদ ভ্রাম্যমাণ আদালতের সামনে পড়েন। ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে এক বছর কারাদণ্ড, এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ছয় মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেন। এ ঘটনার পরপরই শান্তিপাড়া স্কুলমোড়ে লাইফ কেয়ার ফার্মা ফার্মেসি থেকে রাতের আঁধারে সাইনবোর্ড থেকে হারুন অর রশিদের নামের গোড়া থেকে ডা, শব্দটি মুছে ফেলা হলে এলাকাবাসীর সন্দেহ হয় তিনি ডাক্তার কি না! এতোদিন তাহলে রোগীদের সাথে তিনি কি প্রতারণা করেছেন? গতকাল দিনভর ফার্মেসিটি বন্ধ থাকে। এক পর্যায়ে গতকাল শুক্রবার বিকেলে রোগী সাধারণ ও এলাকাবাসী ফার্মেসিতে ভাঙচুর চালায়। পরে তারা ফার্মেসিতে তালা ঝুলিয়ে দেয়। তাদের দাবি, ভুয়া ডাক্তার সবুজের জেল-জরিমানা হলো কিন্তু তার সহযোগী হারুন অর রশিদ কেন পার পেয়ে যাবেন। এ ব্যাপারে গতরাতে হারুন অর রশিদের সাথে মোবাইলফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি মাথাভাঙ্গাকে বলেন আমিও ডাক্তার তবে প্যারামেডিকেল।