স্টাফ রিপোর্টার: আফ্রিদির ঝড়ো ব্যাটিংয়ে নিজেদের শেষ ম্যাচে ৩ উইকেটের নাটকীয় জয় পেয়েছে পাকিস্তান। ২৫ বলে ৫৯ রান করে দলকে খাদের কিনারা থেকে টেনে তুলেন আফ্রিদি। এর ফলে পাকিস্তান এশিয়া কাপের ফাইনাল নিশ্চিত করলো। মিরপুরের শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে রানোৎসবে মেতেছিলেন টাইগাররা। প্রথম সারির ৫ ব্যাটসম্যানের অসাধারণ ব্যাটিঙে ৩ উইকেট হারিয়ে নির্ধারিত ৫০ ওভাবে ৩২৬ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। ওয়ানডে ক্রিকেটে এটাই কোনো দলের বিপক্ষে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সংগ্রহের রেকর্ড।
উদ্বোধনী জুটি আনামুল হক বিজয় এবং ইমরুল কায়েস। ইমরুল কায়েস ৭৫ বলে ৫ চার ও ২ ছক্কায় ৫৯ রান তুলে মোহাম্মদ তালহার বলে আউট হন। এ সময় দলের রান ছিল ২৮.৪ ওভারে ১৫০। এরপর আনামুলের সাথে জুটি বাঁধেন মুমিনুল হক। এ জুটিতে ৫৪ রান যোগ হয়। আনামুল শুরু থেকে অসাধারণ দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়ে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় শতক পূর্ণ করেন। এরপরই তার ১৩২ বলে ৬ চার ও ৪ ছক্কায় ১০০ রানের ইনিংসটি শেষ হয় সাঈদ আজমলের বলে আহমেদ শেহজাদের তালুবন্দি হয়ে।
চমকপ্রদ ব্যাটিং করে অর্ধশতক পূর্ণ করে পাক তারকা অফ স্পিনার সাঈদ আজমলের শিকারে পরিণত হলেন মুমিনুল হক। ইনিংসের ৪৪.২ ওভারে ৪৭ বলে ৬ বাউন্ডারিতে ৫১ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলা মুমিনুল বিগ শট হাঁকাতে গিয়ে মোহাম্মদ হাফিজের তালুবন্দি হন। বাংলাদেশের দলীয় সংগ্রহ তখন ছিলো ৩ উইকেটে ২৪৯ রান। এরপরই শেষ চমক উপহার দেন নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে দলে ফেরা বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। ৪র্থ উইকেটে অধিনায়ককে নিয়ে পাকবোলারদের বিধ্বস্ত করে মাত্র ৫.৪ ওভারে ৭৭ রান সংগ্রহ করেন তিনি।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে দারুণ সূচনা করে পাকিস্তানের উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হাফিজ ও শেহজাদ। শেহজাদ ১২৩ বলে ১০৩ রান সংগ্রহ করেন। তবে দ্রুত গতিতে রান তুলতে না পারায় রান রেটে বেড়েই চলেছিলো অস্বাভাবিকভাবে। খেলার ওই অবস্থায় বাংলাদেশের জয় প্রায় নিশ্চিতই ছিলো। কিন্তু আফ্রিদির জড়ো ব্যাটিং খেলার মোড় ঘুরিয়ে দেয়। ২৫ বলে ৫৯ রান করে রান আউট হওয়ার আগে দলকে এগিয়ে দেন। আফ্রিদির আউটের পর কিছুটা সম্ভাবনা জাগলেও ফাওয়াদ আলম রাজ্জাকের ওভারে পরপর দুটি ছক্কা হাঁকান।