দর্শনা অফিস: মাদককে শূন্যের কোটায় আনার ঘোষণা স্বয়ং দেশের প্রধানমন্ত্রীর। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাদককে শূন্যের কোটায় আনতে জিহাদ ঘোষণা করেছেন। সেই মোতাবেক মাদকবিরোধী ঝটিকা অভিযান অব্যাহত রেখেছে পুলিশ, বিজিবি, র্যাবসহ প্রশাসনের বিভিন্ন বিভাগ। দর্শনায় দফায় দফায় মাদকবিরোধী পৃথক অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ ও বিজিবির পাশাপাশি র্যাব। দর্শনা বিজিবি মাদকবিরোধী পৃথক অভিযান চালিয়ে যেমন উদ্ধার করা হয়েছে ফেনসিডিল, গাঁজা ও মদ, তেমনি পুলিশি অভিযানে পিকআপ ভ্যানসহ গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্ত ৪ মাদককারবারিকে। উদ্ধার করেছে ইয়াবা ট্যাবলেট। গত মঙ্গলবার রাত ৩টার দিকে দর্শনা বিজিবি ক্যাম্পের বিশেষ দলের কমান্ডার নায়েক রবিউল ইসলাম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সঙ্গীয় সদস্যদের নিয়ে মাদকবিরোধী অভিযান চালান দর্শনা থানা এলাকার সুলতানপুর মাঠে। বিজিবি সদস্যরা সুলতানপুর মাঠ থেকে ৫০০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করে। এ সময় পালিয়ে যায় মাদককারবারিরা। বিজিবি সদস্যরা পিছু ধাওয়া করেও কোনো মাদককারবারিকে আটক করতে পারেনি। এ অভিযানের মাত্র দেড়ঘণ্টার মাথায় নায়েক রবিউল ইসলাম সঙ্গীয় সদস্যদের নিয়ে মাদকবিরোধী আরও একটি অভিযান চালান পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের কামারপাড়া স্কুলের পেছনের মাঠে। এ অভিযানেও বিজিবি সদস্যরা উদ্ধার করেছে ৯ কেজি গাঁজা ও ৮ বোতল ভারতীয় মদ। নায়েক রবিউল ইসলাম রবি বলেন, চুয়াডাঙ্গা-৬ বর্ডার গার্ডের পরিচালকের নির্দেশে এলাকাকে মাদকমুক্ত করতে মাদকবিরোধী ঝটিকা অভিযান অব্যাহত থাকবে। মাদককারবারিচক্রের সদস্য যতোই শক্তিশালী হোক না কেন, নির্মূল করা হবে। গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে দর্শনা জয়নগর আইসিপি বিজিবি ক্যাম্পের হাবিলদার রোকনুজ্জামান সঙ্গীয় সদস্যদের নিয়ে মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়ে জয়নগর মাঠ থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করেছেন ৮ বোতল ভারতীয় মদ।
এদিকে দর্শনা থানা পুলিশ মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়ে পিকআপভ্যানসহ গ্রেফতার করেছে অভিযুক্ত ৪ মাদককারবারিকে। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে থানায় দায়ের করা হয়েছে মামলা। গত পরশু মঙ্গলবার রাত ১টার দিকে দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ মাহব্বুর রহমানের নেতৃত্বে এসআই শফিকুল ইসলাম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে মাদকবিরোধী অভিযান চালান দর্শনা আন্তর্জাতিক স্টেশনের পেছনে। পুলিশ স্টেশনের পেছন থেকে গ্রেফতার করে চুয়াডাঙ্গা শেখপাড়ার মনোয়ার হোসেনের ছেলে মিরাজুল ইসলাম (২৪), আ. মোমিনের ছেলে সোহেল (২৮), ডিঙ্গেদাহের আ.সাত্তারের ছেলে শুভ (২২) ও দর্শনা পৌর এলাকার মোহাম্মদপুরের অশোকের ছেলে সুকেনকে (২৭)। গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে উদ্ধার তাদের ব্যবহৃত পিকআপভ্যান (ঢাকা মেট্রো-ন-১৫-৮২৫৯) তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার করা হয়েছে ৩০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট। এ ঘটনায় এসআই শফিকুল ইসলাম বাদি হয়ে গ্রেফতারকৃত ৪ জনের বিরুদ্ধে দর্শনা থানায় মামলা দায়ের করেছেন।