চুয়াডাঙ্গার শঙ্করচন্দ্র ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে এমপি ছেলুন
ডিঙ্গেদহ প্রতিনিধি: ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিলো উন্নত সমৃদ্ধশালী সোনার বাংলাদেশ গড়ার। ঘাতকরা তার সেই স্বপ্নকে পূরণ করতে দেননি। ৭৫ এর ১৫ আগস্ট সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছিলো। আ.লীগ নেতা-কর্মীদের হত্যা করা হতো, নির্যাতন করা হতো। আতঙ্কে থাকতেন আ.লীগের নেতা কর্মীরা। বঙ্গবন্ধুর লালিত স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করার জন্য শেখ হাসিনা ১৮-১৯ ঘণ্টা দেশের মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। চুয়াডাঙ্গা এলাকা ছিলো সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্য। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সকল সন্ত্রাসীরা সারেন্ডার করেছে। সন্ত্রাসমুক্ত হয়েছে চুয়াডাঙ্গা জেলা। এখন সন্ধ্যা হলে মানুষ চায়ের দোকানে বসে চা খায়, গল্প করে, টিভি দেখে। গরমের সময় রাস্তার ধারে মাচালে শুয়ে থাকে। কেউ আর চাঁদা চায় না। মানুষ শান্তিতে বসবাস করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের সকল প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারি করেছে, এমপিওভুক্ত করা হয়েছে মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলো। যেগুলো এখনও হয়নি সেগুলো পর্যায়ক্রমে এমপিওভুক্ত করা হবে। আমরা সকলেই পা ফাটা কৃষকের সন্তান। এখন আমরা শিক্ষিত হয়েছি, শাদা জামা গায়ে পরে সব ভুলে যায়। কিন্তু আমরা খোঁজ নিয়ে দেখলে বুঝতে পারবো আমরা সেই পা ফাটাদের সন্তান। যারা দলের দায়িত্ব পেলেন তারা এলাকার সাধারণ মানুষের পাশে থাকবেন। মুল্যায়ন করতে ভুলবেন না দলের নেতা-কর্মীদের। আমরা কথায় কথায় বলে থাকি জামাত বিএনপি দেশে নেই। এটা সম্পূর্ণ ভুল কথা। তারা ঘাপটি মেরে আছে। ষড়যন্ত্র করছে দেশের ও সরকারের বিরুদ্ধে। সুযোগ পেলেই তারা বিষধর সাপের মতো ছোবল মারবে। এ জন্য দলের মধ্যে কোনো বিভেদ নয়। সকল বিভেদ ভুলে জামাত বিএনপি ও বিশ্বাস ঘাতকদের সকল ষড়যন্ত্রকে প্রতিহত করতে হবে। গতকাল রোববার বিকেল ৪ টায় ডিঙ্গেদহ সোহরাওয়ার্দ্দী স্মরণী বিদ্যাপীঠ মাঠে চুয়াডাঙ্গার শংকরচন্দ্র ইউনিয়ন আ.লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তবে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
শঙ্করচন্দ্র ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমানের সভাপতিত্বে সম্মেলনের উদ্বোধন ঘোষণা করেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নান নান্নু। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য হাজি আলী আজগর টগর। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে বিশ্বের উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করবেন। চুয়াডাঙ্গার রাস্তাঘাট, স্টেডিয়াম, যুব ভবন, জেলা কারাগার, ফায়ারসার্ভিস ভবন ও পদ্মা সেতুর মতো কাজ শুরু করেছে। বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিচিত করেছে। সাবেক পৌর মেয়র ও জেলা আ.লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, চুয়াডাঙ্গার একজন ঘুষখোর, সুদখোর বিএনপি-জামাতকে সাথে নিয়ে আ.লীগকে বিভক্তি করার ষড়যন্ত্র করছে। বিএনপি’র এক সাবেক জনপ্রতিনিধির ভাগ্নে তার গ্রুপের নেতৃত্ব দিয়েছে। উপজেলা নির্বাচনে ওই সাবেক জনপ্রতিনিধির ছেলে ঘোড়া মার্কার ভোট করেছে। আপনারা সকলে সংগঠিত হন, সুদখোরদের উচিৎ শিক্ষা দেয়া হবে।
বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য রাখেন, জেলা আ.লীগের সহ-সভাপতি খুস্তার জামিল, সাংগাঠনিক সম্পাদক মুন্সি আলমগীর হান্নান, মাসুদ উজ্জামান লিটু, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক আরশাদ উদ্দিন চন্দন, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা আ.লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শাহাদত হোসেন, দামুড়হুদা উপজেলা চেয়ারম্যান আলি মুনসুর বাবু, সাবেক পিপি অ্যাড. সামসুজ্জোহা, আওয়ামী লীগ নেতা পিপি অ্যাড. বেলাল হোসেন, জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি আফজালুল হক, জেলা পরিষদের সদস্য শহিদুল ইসলাম শাহান, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোহাইমেন হাসান অনিক, যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম রঞ্জু, আ.লীগ নেতা আলাউদ্দিন হেলা, সাবেক ছাত্রনেতা আব্দুল কাদের, সিরাজুল ইসলাম আসমান, রাশেদুজ্জামান বাকি, জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি শাহাবুল হোসেন, শঙ্করচন্দ্র ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি সোহাগ হোসেন।
সম্মেলনে শঙ্করচন্দ্র ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমানকে সভাপতি ও নিলুয়ার হোসেনকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে এমপি সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন, এমপি হাজি আলী আজগর টগর ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দ জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে পতাকা উত্তোলন ও শান্তির প্রতীক পায়রা অবমুক্ত করেন। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন জেলা আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক শওকত আলী বিশ্বাস।