মেহেরপুরে আ.লীগের বর্ধিতসভায় জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রীকে ধুয়ে দিলো নেতারা

পরিবর্তন না হলে মন্ত্রী ফরহাদকে অবাঞ্ছিত ঘোষণার হুঁশিয়ারি
মেহেরপুর অফিস: মেহেরপুরের আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতারা শহর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় ধুয়ে দিয়েছে। দলীয় নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন না করা হলে মন্ত্রীকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছে। মুজিববর্ষ উপলক্ষে বুধবার বিকেলে টাউনহলে শহর আওয়ামী লীগ বর্ধিতসভা করেছে। শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ইয়ারুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় সদর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম রসুল প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেছেন, আমাদের এমপি জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন ডিসি এসপি থাকলেই দলে কেউ না থাকলেও চলবে ঘোষণা দিয়ে দলের ত্যাগী নেতাকর্মীদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করায় ত্যাগীরা দল ছেড়ে দিচ্ছে। দলে বিএনপি জামাতের লোকজনকে মূল্যায়ন করছেন। ফলে বিরোধী দলের চেয়ে দলের ব্যক্তিবিশেষের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে হচ্ছে।
সভায় সদর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক অ্যাডভোকেট মিয়াজান আলী বলেছেন, সরকার চাচ্ছে গ্রামকে শহর করতে। কিন্তু আমাদের মন্ত্রী জেলা শহরকে প্রান্তিক জনপদের গ্রামে পরিণত করছে মেহেরপুর শহরকে। মন্ত্রী জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ ও পৌর উন্নয়নে চরমভাবে বিরোধিতা করছেন। এই তিনটি প্রতিষ্ঠানেই জনপ্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত হয়ে আছে আওয়ামী লীগ থেকে। মানসিকভাবে মন্ত্রী পরিবর্তন না হলে মন্ত্রীকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হবে বলেও তিনি হুঁশিয়ারি করেন। বর্ধিতসভায় মন্ত্রীর উদ্দেশে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম রসূল বলেন, তুমি কিশোরগঞ্জ উন্নয়ন করছো। ওখানে মন্ত্রীর ভোট করবে উনার মেহেরপুরের ভোট দরকার নেই।
প্রতিমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাড. ইয়ারুল ইসলাম বলেন, যার একটি মোটরসাইকেল ছিলো না; এখন তার চারটি দামি গাড়ি। তিনি আলাদিনের চেরাগ পাইছেন? জেলা প্রশাসকের উদ্দেশ্যে তিনি আরও বলেন, মেহেরপুরে একজন কালা জাহাঙ্গীর আছে। কথায় আছে বাঁশের চেয়ে কঞ্চি মোটা হলে যা হয়।
জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আবদুল মান্নান ছোট বলেছেন, আমাদের আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আমরা আওয়ামী লীগ অবস্থান নিয়েছি মন্ত্রীর কর্মকা-ে। মেহেরপুর জেলাতে সকল ইউনিটে কাউন্সিল হচ্ছে না। কারণ মন্ত্রী কমিটি গঠনেও ভাগ বসাতে চাচ্ছেন।
বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা আশকার আলী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক মিয়াজান আলী, সাবেক শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল মান্নান, পৌর মেয়র ও জেলা যুবলীগের আহবায়ক মাহফুজুর রহমান রিটন প্রমুখ।
পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আক্কাস আলী ও জেলা যুবলীগের যুগ্মআহবায়ক শহিদুল ইসলাম পেরেশানের সঞ্চালনায় বিশেষ বর্ধিতসভায় বক্তব্য দেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুর রব, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লাভলী ইয়াসমিন, জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি সাজ্জাদুর আনাম, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আবু সুফিয়ান রুপক, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জুয়েল রানা, কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান জনিসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ সকল নেতাকর্মীরা।