চুয়াডাঙ্গায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ধারালো অস্ত্রসহ ৩ তরুণ গ্রেফতার

স্টাফ রিপোর্টার: ডাকাতির জন্য সড়কের পাশে ওৎপেতে বসে থাকা উঠতি বয়সী ৩ যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতরাত সাড়ে ৮টার দিকে চুয়াডাঙ্গা-আলমডাঙ্গা সড়কের ঘোড়ামারা ব্রিজের অদূরবর্তী স্থান থেকে এদেরকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ এ তথ্য দিয়ে বলেছে, গ্রেফতারকৃতদের নিকট থেকে ৪টি ধারালো অস্ত্র রামদা উদ্ধার করা হয়েছে। ওদের সাথে থাকা আরো একজন পালিয়ে গেছে। তাকেও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
গ্রেফতারকৃত ৩ জন হলো চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের শেখরাতলাপাড়ার নওশাব আলীর ছেলে লিখন (২০), পুজোতলাপাড়ার কৃষ্ণ সাহার ছেলে নিপন সাহা (১৮) ও মুক্তিপাড়ার ইন্তাজুল হকের ছেলে স্বাধীন (২০)। এদের গ্রেফতারের সময় পালিয়ে যাওয়া অপরজনের নাম পরিচয় পুলিশ প্রকাশ করেনি। তবে সূত্র বলেছে, গ্রেফতারকৃতরা তাদের পালিয়ে যাওয়া সহযোগির নাম পরিচয় দিয়েছে। অপর একসূত্র বলেছে, গতকাল বিকেলে ৩/৪ জন যুবক শহরের বড়বাজার এলাকা থেকে বহিরাগত দুজনকে ধরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের পরিত্যক্ত আবাসিক এলাকায় নিয়ে তাদের নিকট থেকে নগদ টাকাসহ মূল্যবান মামালামাল ছিনিয়ে নেয়া ঘটনার সাথে গ্রেফতারকৃতদের সংশ্লিষ্ঠতা আছে কিনা তাও ক্ষতিয়ে দেখছে পুলিশ।
পুলিশসূত্রে জানা গেছে, গতরাত ৮টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ ইন্সপেক্টর আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান জানতে পারেন, ঘোড়ামারা ব্রিজের নিকট সড়কে ডাকাতির জন্য একদল যুবক প্রস্তুতি নিচ্ছে। গোপনে পাওয়া এ তথ্যের ভিত্তিতে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ ও শহর ফাঁড়ি পুলিশ দ্রুত ঘোড়ামারা ব্রিজের নিকটস্থ সড়কের ধারে অভিযান শুরু করে। সদর থানার এসআই সুমন সরকার, টিএসআই ওহিদুল ইসলাম ও এএসআই মোস্তাফিজুর রহমান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান চালিয়ে হাতে নাতে তিনজনকে গ্রেফতার করেন। পালিয়ে যায় একজন। গ্রেফতারকৃতদের নিকট থেকে উদ্ধার করা হয় ৪টি ধারালো অস্ত্র রাম দা। গ্রেফতারের পর চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় নিয়ে তিনজনকেই প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। আজ বৃহস্পতিবার আদালতে তিনজনকেই সোপর্দ করা হতে পারে। গতরাতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মামলা রুজুর প্রক্রিয়া চলছিলো। একই সাথে চলছিলো পালিয়ে যাওয়া যুবককে ধরার চেষ্টা।
প্রসঙ্গতঃ গতকাল সন্ধ্যায় গুঞ্জন ওঠে, শহরের বড়বাজার এলাকা থেকে বহিরাগত দুজনকে কৌশলে ধরে নিয়ে পানি উন্নয়নের মধ্যে নিয়ে তাদের নিকট থেকে টাকা ও মূল্যবান মালামাল ছিনিয়ে নেয় কয়েক যুবক। এ বিষয়ে পুলিশে নালিশ না পৌছুলেও ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ের চেষ্টা চলে। কেউ কেউ মন্তব্য করতে গিয়ে বলে, গ্রেফতারকৃত ওই যুবকদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে এ ঘটনার নেপথ্য উন্মোচন হলেও হতে পারে।