বখতিয়ার হোসেন বকুল: দামুড়হুদা উপজেলা সদরে পশু অফিস থাকছে না। আগামী মাসের শুরুতেই দর্শনা পশু হাসপাতাল থেকে এর কার্যক্রম পরিচালিত হবে। দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের সমন্বয় সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এ দিকে পরিষদের মাসিকসভায় এমন সিদ্ধান্তের খবর দামুড়হুদা এলাকার সচেতন মহল জানার পর ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন এবং বলেন, এ সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে এলাকার বৃহৎ জনগোষ্ঠীর গবাদি পশু-পাখির চিকিৎসাসেবা চরমভাবে ব্যহত হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। পশু অফিসটি যেন কোনোভাবেই এখান থেকে দর্শনায় স্থানান্তরিত করা না হয় সে বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য হাজি আলী আজগার টগরসহ সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকার সচেতন মহল। প্রয়োজনে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলেও জানিয়েছেন তারা।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার পশু হাসপাতালটি দর্শনায় স্থাপিত হলেও পশু অফিসের অফিশিয়াল কার্যক্রমের পাশাপাশি হাঁস, মুরগি ও গবাদি পশুর চিকিৎসা সেবার কাজ দামুড়হুদা উপজেলা সদর থেকে দির্ঘদিন ধরে পরিচালিত হয়ে আসছে। উপজেলা পশু হাসপাতালটি দর্শনায় হওয়ায় সম্প্রতি পশু পালন অধিদপ্তর (বর্তমানে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর) এর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ দর্শনা থেকে কার্যক্রম পরিচালনা করতে পত্রপ্রেরণ করে। বিষয়টি ইতঃপূর্বে উপজেলা পর্যায়ের মাসিকসভায় আলোচনা হয়। দামুড়হুদা উপজেলা সদর, জুড়ানপুর, নতিপোতা, হাউলী, কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের বৃহৎ জনগোষ্ঠীর পশু-পাখির চিকিৎসাসেবা ব্যহত হওয়ার আশঙ্কায় দর্শনা ও দামুড়হুদা সদর উভয় স্থানেই কার্যক্রম পরিচালনা করার সিদ্ধান্ত হয়। উপজেলায় পশু অফিসের নির্দিষ্ট ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা হওয়ায় সম্প্রতি উপজেলা চেয়ারম্যানের ইয়ারমার্ক বাসায় এর কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছিলো। গতকাল মঙ্গলবার মাসিকসভায় উপজেলা চেয়ারম্যান তার বাসা খালি করতে বলেন প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাকে। উপজেলা চেয়ারম্যান বলেন, যেহেতু উপজেলা পরিষদের মধ্যে আপনাদের কোনো রুম নেই সে কারণে আপনারা দর্শনায় বসবেন এবং ওখান থেকেই অফিসের কার্যক্রম চালাবেন। এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. এএইচএম শামিমুজ্জামান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আগামী মাসের শুরু থেকে আমাকে দর্শনায় অফিস করতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল আলম ঝন্টু, সদর ইউপি চেয়ারম্যান প্রভাষক শরীফুল আলম মিল্টনসহ এলাকার সচেতন মহল বিষয়টি শোনা মাত্রই ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেছেন, এখান থেকে পশু অফিস দর্শনায় চলে গেলে অত্র এলাকার বৃহৎ জনগোষ্ঠীর গবাদি পশু-পাখির চিকিৎসাসেবা চরমভাবে ব্যহত হবে। তাই তাদের স্বার্থের কথা বিবেচনায় নিয়ে দামুড়হুদা উপজেলা সদর থেকে কোনোভাবেই এ অফিস যেতে দেয়া হবে না। প্রয়োজনে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। পশু অফিসটি যেন কোনোভাবেই এখান থেকে দর্শনায় স্থানান্তরিত করা না হয় সে বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য হাজি আলী আজগার টগরসহ সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপের অনুরোধ জানিয়েছেন এলাকার সচেতন মহল।