গাংনী প্রতিনিধি: মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার রাজাপুর গ্রামে দু দল গ্রামবাসীর মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে পুলিশসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। ক্ষেতের ফসল নষ্ট করাকে কেন্দ্র করে গতকাল মঙ্গলবার বিকেল পৌনে ৫টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে কুমারিডাঙ্গা পুলিশ ক্যাম্পে কর্মরত কনস্টেবল কামাল হোসেন (৪৫) ও আনছার সদস্য জাহের আলীসহ (৪৬) কয়েকজনকে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় ও পুলিশসূত্রে জানা গেছে, গাংনী উপজেলার রাজাপুর ও পার্শ্ববর্তী কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার খলিশাকুণ্ডি গ্রামের মানুষ চাষাবাদ করেন রাজাপুর মাঠে। খলিশাকুণ্ডি গ্রামের বাচ্চু মিয়ার মরিচক্ষেতের মধ্যদিয়ে পাট নিয়ে যাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে গতকাল দুপুরে রাজাপুর গ্রামের আলমের গণ্ডগোল বাধে। এক পর্যায়ে রাজাপুর গ্রামের কয়েকজন বাচ্চুকে গ্রামে ধরে নিয়ে আসে। এমন অভিযোগে বিকেলে খলিশাকুণ্ডি গ্রামের শহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে ৩০/৪০ জন মানুষ রাজাপুর গ্রামে এসে আলমের বাড়িতে হামলা চালায়। রাজাপুর গ্রামের মানুষও পাল্টা হামলা চালালে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। খবর পেয়ে পার্শ্ববর্তী কুমারিডাঙ্গা পুলিশ ক্যাম্পের একটি দল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে যায়। পুলিশের উপস্থিতিতে পার্শবর্তী গ্রামের মানুষ রাজাপুর গ্রামের মানুষকে মারধর করেছে অভিযোগ তুলে পুলিশের ওপর চড়াও হয় কয়েকজন। সংঘর্ষের ঘটনায় কুমারিডাঙ্গা পুলিশ ক্যাম্পে কর্মরত কনস্টেবল কামাল হোসেন ও আনছার সদস্য জাহের আলী ও রাজাপুর গ্রামের আব্দুস সবুরকে (৪৩) রক্তাক্ত জখম অবস্থায় গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। উভয় পক্ষের আহত আরও কয়েকজনকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়। পরে হাসপাতালে আহতদের দেখতে আসেন জেলা আনছার কমান্ড্যান্ট গাজী মাহবুজ্জামান ও সদর ইউআই মহিবুল হক। উন্নত চিকিৎসার জন্য তারা আনছার সদস্যকে কুষ্টিয়া হাসপাতালে নিয়ে যান।
গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাছুদুল আলম জানিয়েছেন, পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। তবে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।