আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গার প্রধান জিকে ক্যানেল (কুমার নদ) দখলমুক্তের অভিযান বন্ধের দাবিতে আলমডাঙ্গায় জিকে ক্যানেল দখল করে বসবাসকারীরা জোটবদ্ধ হয়ে বিক্ষোভ করেছে। গতকাল সন্ধ্যায় তারা ক্যানেলের পাড়ে অবস্থিত শনি মন্দিরের সামনে উপস্থিত হয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করে।
বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আশরাফুল হক পিন্টুর সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট সমাজকর্মী প্রশান্ত অধিকারী, বাবুল হোসেন, মনির উদ্দীন, কামাল হোসেন, ফারুক হোসেন, দেলোয়ার হোসেন দিলু, মণি ঠাকুর, বিষ্ট, স্বপন, আমেনা খাতুন, মুক্তিযোদ্ধা শুকুরণ নেছা, আনজিরা, মজিবুল হক, রিজিয়া খাতুন, ময়না খাতুন, তারা খাতুন, নাজমা খাতুন, আলেয়া খাতুন, সালেহা খাতুন, হামিদা খাতুন, চাঁদ আলী, মহির উদ্দীন, সবদুল, লাল্টু, মোকাদ্দেস আলী, আব্দুর রাজ্জাক, রাহেন আলী, আব্দুল জব্বার, আব্দুল মান্নান, লাল্টু। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আলিম, কমল প্রামাণিক, অমল প্রামাণিক, জাহাঙ্গীর, ডাবু, আয়নাল, পরিতোষ অধিকারী, মায়া অধিকারী, বিপুল কুমার, প্রেমা অধিকারী, সুজিদ দাস, দুর্লোভ দাস, জোছনা দাস, সন্ধ্যা রানী, অমল দাস, কৃষ্ণ দাস, সোম প্রামাণিক প্রমুখ।
বহু পূর্ব থেকেই আলমডাঙ্গার জিকে প্রধান ক্যানেলের (কুমার নদ) দুই পাড়ের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনার কথা চাওর হয়েছে। সম্প্রতি জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে অবৈধ দখলদারদের ৭ দিনের মধ্যে অবৈধ স্থাপনা ছেড়ে দিতে নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। এমনকি অবৈধভাবে নির্মিত স্থাপনাগুলি লাল ক্রস চিহ্ন দিয়ে চিহ্নিত করা হয়েছে।
বিক্ষোভকারীদের দাবি তারা অধিকাংশ অত্যন্ত দরিদ্র। দীর্ঘদিন ধরে ক্যানেলের পাড়ে বসবাস করছেন। বেশিরভাগ মানুষের দাবি যে তারা ওয়াবদা কর্তৃপক্ষের নিকট থেকে বিধিবদ্ধভাবে লিজ নিয়েই বসবাস করছেন। কেউ কেউ দাবি করেন, গত ২০১৮ সাল পর্যন্ত তাদের লিজ নবায়ন করা আছে।
ক্যানেলপাড়ে বসবাস করেন না এমন অনেকে এদের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করে বলেন, ক্যানেল বা কুমার নদের ইনসাইডের দখলদারিত্ব সমর্থন করা যায় না। কিন্তু আউট সাইডে অনেক হতদরিদ্র মানুষ বসবাস করেন, তাদের কথাও প্রশাসনের ভেবে দেখতে হবে। এতোগুলো ছিন্নমূল পরিবার উচ্ছেদ হয়ে কোথায় দাঁড়াবে?