বিকাশের মাধ্যমে বাড়ি ১০ হাজার টাকা পাঠাতে গিয়ে বিপাকে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী : নম্বর ভুলে টাকা হাতছাড়া

স্টাফ রিপোর্টার: বিকাশের মাধ্যমে বাড়ি ১০ হাজার টাকা পাঠাতে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন চুয়াডাঙ্গার ক্ষুদ্র মাছ ব্যবসায়ী আব্দুল আওয়াল। গতরাত ৯টার দিকে তিনি চুয়াডাঙ্গা স্টেশনের নিকটস্থ হেলাল স্টোরের দোকানি হেলালের মাধ্যমে এ টাকা পাঠাতে গেলে বিপাকে পড়েন। দোকানি অবশ্য চাপের মুখে সঠিক নম্বরে ৫ হাজার টাকা প্রেরণ করেছেন। বাকি ৫ হাজার টাকা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আওয়াল পাবেন কি-না তা নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা।
দোকানি হেলাল উদ্দীন অবশ্য বলেছেন, আব্দুল আওয়াল যে নম্বরে বিকাশ করতে বলেছিলেন, সেই নম্বরেই বিকাশ করেছি। পরে যখন নম্বরটা মেলাতে বসি তখন দেখা যায় নম্বরটা ভুল হয়েছে। যে নম্বরে ১০ হাজার টাকার বিকাশ গিয়েছে, সেই নম্বরটি বন্ধ থাকায় বিষয়টি পড়েছে অনিশ্চয়তার মধ্যে। তবে বিকাশের কর্মকর্তাদের মাধ্যমে ওই টাকা ফেরত নেয়ার চেষ্টা করা হবে।
জানা গেছে, কিশোরগঞ্জ ইটনার আব্দুল আওয়াল বেশ কিছুদিন ধরে চুয়াডাঙ্গায় বসবাস করে আসছেন। তিনি মাছের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। মাছ কিনে ফেরি করেন। গতরাতে তিনি তার বাড়ি কিশোরগঞ্জে বিকাশের মাধ্যমে ১০ হাজার টাকা পাঠানোর জন্য চুয়াডাঙ্গা স্টেশনের নিকটস্থ হেলাল স্টোরের হেলালের নিকট যান। তিনি যে নম্বরে বিকাশ করতে হবে সেই নম্বরটি বলার পাশাপাশি টাকাও তুলে দেন হেলালের হাতে। কিছুক্ষণ পর হেলাল বলেন টাকা চলে গেছে। খোঁজ নিয়ে আব্দুল আওয়াল জানতে পারেন টাকা পৌঁছুয়নি। এরপর নম্বর যাচাই করতে গেলে দোকানি বলেন, ভুল নম্বরে বিকাশ করা হয়ে গেছে। শেষ নম্বরটি শূন্যের স্থলে তিন দেয়া হয়ে গেছে। এ নিয়ে উচ্চস্বরে কথা কাটাকাটি শুরু হলে জনতার ভিড় জমে। শেষ পর্যন্ত গোয়েন্দা পুলিশের এক কনস্টেবলের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলেও দোকানি হেলালকে ওই আওয়ালের দেয়া নম্বরে ৫ হাজার টাকা দিতে বাধ্য হন। বাকি ৫ হাজার টাকা তিনি আজ শনিবার দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেন, আমিও তো ক্ষতিগ্রস্ত। একটি নম্বরে তো বিকাশ দিয়েছি। যে নম্বরে টাকাটা চলে গেছে সেখান থেকে ফেরত নিতে পারলে পুরোটাইতো আমার লোকসান হবে। তাছাড়া আমি তো টাকা প্রেরণের আগে নম্বরটা একবার মিলিয়েও নিতে চেয়েছিলাম। অলিস্যে করে না মেলানোর কারণে এখন খেসারত দিতে হচ্ছে আমাকে।