পরীক্ষা কেন্দ্রে কোন প্রকার ডিভাইস পেলেই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা

চুয়াডাঙ্গায় এসএসসি দাখিল ও সমমানের পরীক্ষা গ্রহণের প্রস্তুতিসভা সম্পন্ন

স্টাফ রিপোর্টার: ‘পরীক্ষা চলাকালে শহরের কোনো প্রান্তের কোনো ফটোস্ট্যাট দোকান খোলা রাখা যাবে না। কোচিংসেন্টারগুলো পরীক্ষার তিনদিন আগে থেকেই সম্পূর্ণ বন্ধ রাখতে হবে। প্রশ্নপত্র দেখানোর জন্যও কোনো কেন্দ্রের সামনে জটলা চলবে না। প্রশ্নপত্র সংগ্রহ ও পরীক্ষা কেন্দ্রে নিয়ে তা পরীক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণে নূন্যতম অনিয়ম হলেও দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে। পরীক্ষার হলে দায়িত্বপালনের পূর্বে শিক্ষকম-লীকে অবশ্যই তাদের সেলফোন তথা মোবাইলফোন হলসুপারের নিকট জমা রাখতে হবে। হলসুপারদেরও স্মার্টফোন কাছে রাখা নিষেধ।’
এসএসসি, দাখিল, এসএসসি ( ভোকেশনাল) ও দাখিল ( ভোকেশনাল) পরীক্ষার চুয়াডাঙ্গায় প্রস্তুতিমূলক সভায় উপরোক্ত বিষয়ে বিষদে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের পাশাপাশি পরীক্ষার্থীরা যাতে নির্বিঘেœ মনোরম পরিবেশে পরীক্ষা দিতে পারে সে বিষয়ে সকল শিক্ষককে আন্তরিক হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। গতকাল বুধবার সকাল ১০টায় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রস্তুতিসভায় জেলা প্রশাসক গিয়াসউদ্দীন আহমেদ এ আহ্বান জানান। তিনি বলেন, শিক্ষকের সম্মান, শিক্ষকের মর্যদা শিক্ষকদের জানতে হবে। আত্মসম্মান বোধ ভুলে অনৈতিক কিছু করলে শিক্ষকের মর্যদা রাখা সম্ভব হবে না। ফলে শিক্ষকতার মত মহান পেশায় যারা নিয়োজিত, যার পরীক্ষা গ্রহণে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করবেন তাদের সকলকে প্রত্যেক পরীক্ষার্থীকেই নিজের সন্তান, নিজের ছাত্র-ছাত্রী হিসেবেই দেখতে হবে। কোন একক বা কারোর দিকে বিশেষ নজর কিংবা অনৈতিক মানসিক চাপ প্রয়োগের হিনমানসিকতা পরিহার করতে হবে।
পরীক্ষার প্রস্তুতিমূলক সভা পরিচালনায় ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) জসীম উদদীন। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট খোন্দকার ফরহাদ আহমদ, সহকারী পুলিশ সুপার (হেডকোয়াটার) আহসান হাবীব, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সিখীল চন্দ্র চক্রবর্তী, অবরসপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সিদ্দিকুর রহমান, চুয়াডাঙ্গা ভিজে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহফুজুল হক উজ্জল প্রমুখ উপস্থিত থেকে সুন্দর পরিবেশে নকলমুক্ত পরীক্ষা গ্রহণের লক্ষে মতামত উপস্থাপন করেন। পরীক্ষা শুরুর পর পরই যাতে প্রশ্নপত্র যাতে বাইরে না যায় সেদিকে যেমন নজর রাখতে হবে, তেমনই কোন পরীক্ষার্থীর কাছে কোনপ্রকারের ডিভাইস যাতে না থাকে তা নিশ্চিত করতে হবে। শুধু পরীক্ষার্থীই নয়, পরীক্ষার কক্ষে কর্তব্যরত শিক্ষকের নিকট সেলফোন বা এরূপ কোন ডিভাইস থাকলেই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে। পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট পূর্ব থেকেই পরীক্ষার্থীরা যাতে নিজ নিজ আসনে বসতে পারে তা নিশ্চিত করতে হবে। যেহেতু বোর্ড থেকে কোন প্রকারের হাডবোর্ড নেয়ার সুযোগ নেই, সেহেতু পরীক্ষার্থীরা যে বেঞ্চে খাতা রেখে লিখবে তা যেনো সমান হয় তাও নজর রাখতে হবে। উচু নিচু বা কাটা ভাঙাচুরা বেঞ্চ সরিয়ে দিতে দেয়ার ব্যবস্থা আগে থেকেই করতে হবে। আলোচনার প্রেক্ষিতে সভার সভাপতি এসব সিদ্ধান্ত গ্রহণের কথা জানিয়ে পরীক্ষা শুরু ও শেষের এক দেড় ঘণ্টা পরীক্ষা কেন্দ্রের দূর থেকে ভারি যানচলাচলের যাতে না চলাচল করতে পারে সেদিকে ট্রাফিক পুলিশকে আগাম পদক্ষেপ নিতে হবে। বিশেষ করে চুয়াডাঙ্গা ভি.জে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও সরকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের সামনে দিয়ে পরীক্ষার সময় না চলতে পারে সেদিকে বিশেষ নজর রাখা প্রয়োজন সভায় বক্তারা উল্লেখ করেন। যানজোট এড়ানোর জন্যও পুলিশকে বাড়তি দায়িত্ব পালনের অনুরোধ জানানো হয়।