বন্দুকযুদ্ধ : আলুকদিয়া এলাকার ত্রাস কেতু কুপোকাত

চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর সড়কে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে পুলিশের উপস্থিতি!

স্টাফ রিপোর্টার: বন্দুকযুদ্ধে চুয়াডাঙ্গা আলুকদিয়ার আকন্দবাড়িয়ার কেতু (৩০) নিহত হয়েছে। পুলিশ এ তথ্য দিয়ে বলেছে, গতরাত আড়াইটার দিকে চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর সড়কের আলুকদিয়া পাম্পপাড়ার কানাপুকুরের অদূরে গোলাগুলির একপর্যায়ে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করা হয়। হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থল থেকে ৬টা ধারালো অস্ত্র-চাপাতি, ৬টি বোমা, একটি ওয়ান-শাটারগান ও দু’রাউন্ড বন্দুকের কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ বলেছে, চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর সড়কের আলুকদিয়ার অদূরর্তী কবরস্থানের নিকট একদল ডাকাত অবস্থান করছে খবর পেয়ে রাত আনুমানিক সোয়া ২টার দিকে এএসপি (হেডকোয়ার্টার) আহসান হাবিব, সদর থানার ওসি তোজাম্মেল হক, ওসি অপারেশন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছুলে সেখানে থাকা ডাকাতদল পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে শুরু করে। পুলিশও চালায় পাল্টা গুলি। গোলাগুলির এক পর্যায়ে ডাকাতদল পিছু হটে। ঘটনাস্থল থেকে ধারালো অস্ত্র বোমা শাটারগান উদ্ধারের পাশাপাশি পুকুরপাড়ে রক্তাক্ত অবস্থায় একজনকে পড়ে থাকতে দেখা যায়। অসাড় অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এর আগেই আলুকদিয়ার কয়েকজন মুমূর্ষু অবস্থায় দেখে তাকে শনাক্ত করে।
পুলিশ আরও বলেছে, আকন্দবাড়িয়ার শওকত আলীর ছেলে কেতুর বিরুদ্ধে আলুকদিয়ার গফ্ফার কবিরাজ ও জাকির হোসেন হত্যাসহ একাধিক চাঁদাবাজি মামলা রয়েছে। সে বেশ কিছুদিন ধরে এলাকার কিছু সন্ত্রাসীকে সংগঠিত করে ডাকাতদল গঠন করে। ডাকাতিসহ চাঁদাবাজি ছিলো তার পেশা। কেতুর লাশ গতরাতে হাসপাতালেই রাখা ছিলো। আজ বুধবার মর্গে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হবে। বিকেল নাগাদ তার নিজ গ্রামে দাফন কাজ সম্পন্ন করা হতে পারে।