চুয়াডাঙ্গা হকপাড়ার দু’পক্ষের বিরোধ তুঙ্গে : পুলিশ অবস্থান নিলেও টানটান উত্তেজনা

৩ দফা হামলায় রক্তাক্ত জখম ৩ : পাল্টা হামলায় দোকান ও বাড়ি ভাঙচুর
স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা হকপাড়ার প্রতিপক্ষ দুটি পরিবারের বিরোধ চরমে রূপ নিয়েছে। গত ৩দিন ধরে একের পর এক হামলার শিকার হওয়ার পর গতকাল রোববার দুপুরে হামলার শিকার হওয়া পক্ষ রুখে দাঁড়িয়ে একটি চা দোকানসহ একটি বাড়ি ভাঙচুর করেছে। ফলে উত্তেজনা চরমে দাঁড়িয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে মহল্লায় পুলিশ অবস্থান নিয়েছে।
ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে স্থানীয়রা বলেছে, চুয়াডাঙ্গা স্টেশন রেলবস্তির অদূরে হকপাড়ার কাশেম বাঙালের ছেলে কাওছারের সাথে বিরোধ রয়েছে একই মহল্লার সাদেক আলীর ছেলে শামীমের। গত বুধবার বাগবিত-ার এক পর্যায়ে কাওছার ওই শামীমকে চড়থাপ্পড় মারে। এর প্রতিবাদ করতে গেলে গতপরশু শনিবার কাওছার মারপিট করে শামীমের ভাই শরীফকে। শরীফকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করা হয়। এ ঘটনার পর গতকাল সকালে শরীফের বন্ধু কালামকে (১৯) গতকাল রোববার সকাল ৯টার দিকে স্টেশনের অদূরবর্তী ডাউন প্রান্তের সিগন্যালের নিকট কাওছাররা কুপিয়ে জখম করে। কালাম চুয়াডাঙ্গা আরামপাড়ার মোবারক হোসেনের ছেলে। শরীফের বন্ধু কালামকে কুপিয়ে জখম করা হলে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার পাশাপাশি পাল্টা আক্রমণের সুযোগ খুঁজতে শুরু করে। খবর পেয়ে হকপাড়াসহ বস্তি এলাকায় পুলিশ অবস্থান নেয়। পুলিশের উপস্থিতিতে কয়েক দফা সংঘর্ষের আশঙ্কা ফুঁটে ওঠে। তবে পুলিশ থাকাবস্থায় তেমন কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটলেও বেলা ১২টার দিকে পুলিশ সরতে না সরতেই হামলার শিকার হয় শরীফ পক্ষেরই জসিম (২৪)। সে হকপাড়ার জামালের ছেলে। উপজেলা পরিষদের নিকটস্থ ফুড গোডাউনের নিকট তাকে কুপিয়ে জখম করা হয়। তাকেও হাসপাতালে নেয়া হয়। এরপর রুখে যায় হামলার শিকার পক্ষ। তারা রেলবস্তির অদূরবর্তী আলম বিহারির চা দোকান ভাঙচুর করে। এই চা দোকানে কাওছার ও তার লোকজন নিয়ে আড্ডা মারে। চা দোকানে থাকা টিভি, কেরামবোর্ডসহ মালামাল তছনছ করা হয়। এরপর হামলা চালানো হয় কাওছারের বাড়ি। সেখানেও চলে ভাঙচুর। খবর পেয়ে সদর থানার পুলিশ আবারও ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিলেও মহল্লায় টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে। বড় ধরনের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা রয়েছে।
এদিকে হকপড়ায় দু’পক্ষের বিরোধে একপক্ষের ৩জন রক্তাক্ত জখম হওয়ার খবর পেয়ে রাজনৈতিকবৃন্দের অনেকেই হাসপাতালে গিয়ে আহতদের পাশে দাঁড়ান। চিকিৎসার খোঁজখবর নেন। কেউ কেউ ঘটনাটিকে রাজনীতির রঙ মাখাতে চাইলেও ঘটনার আড়ালে রাজনৈতিক কোনো বিরোধ আছে কি-না তা নিশ্চিত করে জানা সম্ভব হয়নি। জানা যায়নি, শামীম ও কাউছারের সাথে গত বুধবার কী নিয়ে বাগবিত-া শুরু হয়।