চুয়াডাঙ্গা শঙ্করচন্দ্রের কলেজ ছাত্রী বৃষ্টি ২২দিন ধরে নিখোঁজ

অপহরণের অভিযোগ তুলে ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা

পাঁচমাইল প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গার শঙ্করচন্দ্র গ্রামের ছাত্রী বৃষ্টি খাতুন ২২দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছে। বৃষ্টি নিখোঁজের ঘটনায় তার পিতা ছমির উদ্দিন ৪ জনের বিরুদ্ধে অপহরণের অভিযোগ তুলে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি মামলা করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরে শঙ্করচন্দ্র ইউনিয়নে শঙ্করচন্দ্র গ্রামের ছমির উদ্দীনের কলেজ পড়ুয়া মেয়ে বৃষ্টি খাতুন (১৬) গত ২১ নভেম্বর চুয়াডাঙ্গা মহিলা কলেজের সামনে থেকে সাদা মাইক্রো গাড়িতে অপহণচক্রকারিরা মুখ চেপে ধরে উঠিয়ে নিয়ে যায়। এ বিষয়ে কলেজপড়ুয়া বৃষ্টির দিশেহারা পিতা ছমির উদ্দীন অভিযোগ করে বলেছেন, আমার মেয়ে কলেজে যাওয়া-আসার পথে পদ্মবিলা ইউনিয়নের নফরকান্দি গ্রামের আজিজুল হাজামের ছেলে মনিরুল হাজাম উত্যক্ত ও কু-প্রস্তাব দিতো। আমি তাদেরকে নিষেধ করাতে আমার মেয়েকে পথচলার সময় বিভিন্ন হুমকি ধামকি দেয়া হতো। এমনকি তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকি পর্যন্ত দিতে থাকে। ওই মনিরুল আমার মেয়ের ছবি ব্লাকমেইল করে বিভিন্ন বকাটে ছেলের কাছে আদান প্রদান করে। ইতোমধ্যে ডিঙ্গেদহ টাওয়ারপাড়ার বকাটে মনিরুলের সহপাঠি সাগর আমার মোবাইলে ফোন করে বলে তোমার মেয়ে বৃষ্টির ছবি আমার ফোনে আছে। যদি ৭ হাজার টাকা দাও তবে সব ঝামেলা মিটে যাবে। ওই ঘটনার ১৫দিন পরেই আমার মেয়ে বৃষ্টিকে তার কলেজ গেটের সামনে থেকে সকাল ৯টার দিকে জোর করে সাদা মাইক্রগাড়িতে উঠিয়ে নিয়ে যায়। ২২দিন যাবৎ কোনো সন্ধান মিলছে না। এ ঘটনায় আমি দিশেহারা হয়ে পড়েছি। তবে বৃষ্টির পিতা ছমির উদ্দীন আরো জানায়, গত ৩দিন আগে আমার মেয়ের ফোন দিয়ে আমার মোবাইলে ফোন করে একটি চক্র বলে আমাদের সাথে খারাপ আচরণ করেছিলি তাই তোর মেয়েকে তুলে এনেছি। টাকা চাইছিলাম টাকা দিলিনা এই কারণে তোর মেয়েকে আর তোকে জব্দ করার জন্য অপহরণ করেছি। আর যদি পুলিশকে এ বিষয়ে কিছু বলিস তাহলে তোর মেয়েকে ধর্ষণ শেষে হত্যা করে মেরে ফেলব। এ বিষয়ে ছমির উদ্দীন ৪ জনের বিরুদ্ধে অপহরণ মামলা এজাহার দায়ের করেন।