কোটচাঁদপুরে সেই সাবেক চেয়ারম্যান ও জামায়াত নেতা তাজুল ইসলাম স্বীকারোক্তিতে অস্ত্র উদ্ধার : পরিবারের অস্বীকার

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরের জামায়াত নেতা সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান তাজুল ইসলামকে অস্ত্র আইনে মামলা করে পুলিশ আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করেছে। পুলিশ দাবি করেছে, রাতে গ্রেফতারের পর তাজুল ইসলামের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। তাজুল ইসলামের পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, গত রোববার দুপুরে তাজুল ইসলামকে বাড়ি থেকে শাদা পোশাকে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে উঠিয়ে নেয়ার কথা অস্বীকার করে পুলিশ। পরে তাকে মিথ্যা অস্ত্র মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিপ্লব কুমার সাহা বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ গত রোববার সন্ধ্যারাতে জামায়াত নেতা তাজুল ইসলামের বাড়িতে গোপনীয় মিটিং চলা অবস্থায় পুলিশ অভিযান চালালে বাড়ির পিছন দিক থেকে অন্যান্যরা পালিয়ে গেলেও তাজুল ইসলামকে পুলিশ ধরে ফেলে। পরে গভীর রাতে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তার বাড়ির রান্না ঘর থেকে একটি সাটারগান ও ৪ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। তাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা হয়েছে। গতকাল সোমবার আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। এদিকে তাজুল ইসলামের বড় ছেলে জিয়ারুল হোসেন জিয়া এ প্রতিবেদককে বলেন, আমার পিতা জামায়াত কেন্দ্রীক কয়েকটি মিথ্যা মামলায় পুলিশ চার্জশিট দেয়ায় তার পিতা তাজুল ইসলামকে উপজেলা চেয়ারম্যান পদ থেকে বহিস্কার করা হয়। এটি চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতের স্মরণাপন্ন হলে সম্প্রতি আদালত তার পিতার উপজেলা চেয়ারম্যান পদ ফিরিয়ে দেয়ার আদেশ দেন। জিয়া বলেন, আমার পিতা তাজুল ইসলামকে ওই পদ থেকে সরিয়ে রাখতে পরিকল্পিতভাবে আবারও তাকে দিনদুুপুরে উঠিয়ে নিয়ে পরে অস্ত্র উদ্ধারের নাটক সাজিয়ে অস্ত্র মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।