স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার বড়সলুয়ার আরজুল ইসলামকে গুরত্বর জখম অবস্থায় সদর হাসপাতাল নিয়েছেন। গতরাত ১২টার দিকে তাকে কয়েকজন হাসপাতালে নেন। আরজুল ইসলামের হাতে ধারালো অস্ত্রের কোপ রয়েছে। তিনি বড়সলুয়া বসুতিপাড়ার রিয়াজ আলীর ছেলে।
আহত আরজুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, একই গ্রামের মশিউর রহমান তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ মারলে গুরুতর আহত হই। তিতুদহ ইউনিয়নের বড়সলুয়া বসুতিপাড়ার রিয়াজ আলীর মেয়ে সাবিনা খাতুন স্বামীর অবর্তমানে বাবার বাড়িতে এসে থাকেন। সাবিনা অভিযোগ করে বলেন, বেশ কিছুদিন আগে মশিউর আমাকে কুপ্রস্তাব দেয়। বিষয়টি মশিউরের পরিবারকে জানানো হয়েছে। গতকাল শুক্রবার আমার বাবা-মা ওয়াজ মাহফিলে যাওয়ায় ঘরে একাই ছিলাম। এ সুযোগে মশিউর আমার ঘরে ঢুকে আমাকে চাকু দেখিয়ে ভয় দেখায়। আমি চিৎকার করলে আমার বড় ভাই ছুটে এসে মশিউরকে জাপটে ধরে। এ সময় তার হাতে থাকা ধারালো চাকু দিয়ে আঘাত করে সে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তার বাড়িতে খোঁজ করলে তাকে পাওয়া যায়নি। পরিবারের লোকজন আরজুলকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরেছেন। আজ মশিউরের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে বলে পরিবারের লোকজন জানিয়েছেন।