ইবি প্রতিনিধি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আবাসিক শহীদ জিয়াউর রহমান হল থেকে চুরির সময় মাদকদ্রব্যসহ এক চোর আটক করা হয়েছে। আটককৃত ওই চোরের নাম সজল হোসেন (২৫)। গতকাল মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৫ টার দিকে হলের ২০৯ নং কক্ষ থেকে ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোন চুরির সময় তাকে আটক করে শিক্ষার্থীরা। এছাড়া তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে তার আরেক সহযোগীকে আটক করেছে পুলিশ। প্রত্যক্ষদর্শী ও আবাসিক শিক্ষার্থী সূত্রে জানা যায়, ভোর সাড়ে ৫ টার দিকে ২০৯ নং কক্ষের এক শিক্ষার্থী বাথরুমে যায়। কক্ষের দরজা খোলা পেয়ে সজল হোসেন ওই কক্ষে প্রবেশ করে। এসময় ওই কক্ষের অন্য শিক্ষার্থীরা ঘুমিয়ে ছিলো। এ সুযোগে সজল টেবিলের ওপর থেকে ল্যাপটপ ও মোবাইল হাতে তুলে নেয়। এ সময় এক শিক্ষার্থী ল্যাপটপ ও মোবাইল নিতে দেখতে পেয়ে তাকে হাতেনাতে আটক করে। শিক্ষার্থীরা তাকে গণধোলাই দিয়ে বিষয়টি হল প্রশাসনকে জানায়। পরে হল প্রভোস্ট প্রফেসর আব্দুস শাহীদ মিয়া আটককৃত চোরকে প্রক্টরিয়াল বডির হাতে তুলে দেয়। পুলিশ তল্লাশী চালিয়ে তার কাছ থেকে ১০ পিস ইয়াবা ও গাজা উদ্ধার করে। ইবি থানা পুলিশের কাছে তাকে হস্তান্তর করা হলে তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী ক্যাম্পাস এবং ক্যাম্পাসের বাহিরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায় পুলিশ। অভিযানে মোস্তাফিজুর নামে তার আরেক সহযোগীকে আটক করে পুলিশ। এসময় তার আরেক সঙ্গী সাজিদ হাসান পালিয়ে যায়।
জানা যায়, আটককৃত ওই চোরের বিরুদ্ধে ক্যাম্পাসে মাদক সরবরাহ করার অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া এর আগে তাকে ইয়াবাসহ কুষ্টিয়া থানা পুলিশ আটক করে বলে সূত্রে জানিয়েছে। আটককৃত সজল স্থানীয় আনন্দনগর গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে। সে ক্যাম্পাস পার্শ্ববর্তী শেখপাড়া দুঃখী মাহমুদ কলেজের (ডিএম) বাণিজ্য বিভাগের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র। তার ক্রমিক রোল নং- ৯২। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে বিভিন্ন সময় দফায় দফায় ঘটনা ঘটেই চলেছে বলে অভিযোগ করেছে হলের একাধিক আবাসিক শিক্ষার্থী। এ বিষয়ে ইবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রতন শেখ জানান, ‘আমরা তাকে আটক করেছি। তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী অভিযান চালানো হচ্ছে। আরও কিছু প্রক্রিয়া বাকি রয়েছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।’