ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঢাকার মিরপুরে দারুস সালামে জঙ্গি নেতা আব্দুল্লাহসহ জঙ্গিরা ৬ তলা বিশিষ্ট যে ভবনটিতে ভাড়া থাকত সেই ভবন মালিক হাবিবুল্লাহ বাহার আজাদ মুন্সির গ্রামের বাড়ি ঝিনাইদহে। জেলার শৈলকুপা উপজেলার ৫ নং কাচেরকোল ইউনিয়নের বিত্তিদেবী রাজনগর গ্রামে তার বাড়ি। এখানে রয়েছে তার টিনশেড বিশিষ্ট ২টি ঘর। ঢাকার আলোচিত ভবন মালিক হাবিবুল্লাহ বাহার আজাদের গ্রামের বাড়ির সাথেই রয়েছে একটি মাদরাসা। গত বছর ৬ লক্ষাধিক টাকা ব্যয়ে নূর-ই-জাহান নামের এ মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করেছে হাবিবুল্লাহ বাহার আজাদ। এ সব তথ্য জানান গ্রামের মানুষ। শৈলকুপার বিত্তিদেবী রাজনগর গ্রামের হাবিবুল্লাহ বাহার আজাদ সম্পর্কে স্থানীয়রা আরো জানায়, আজাদ ঢাকায় টিঅ্যান্ডটি অফিসে চাকরি করেন। ঈদসহ বছরে দু একবার নিজের গাড়িতে চেপে বেড়াতে আসেন। স্ত্রীসহ সাব্বির ও ¯িœগ্ধা নামে তার দুই ছেলে মেয়ে রয়েছে। প্রতিবেশী জাফর আলী, আন্না শেখসহ কয়েকজন জানান, হাবিবুল্লাহ বাহার আজাদ খুব কম সময়ের জন্য এলাকাতে যান। তার ঢাকার বাসাতে জঙ্গির খবরে গ্রামবাসী বিস্মিত হয়েছেন।
তারা জানায়, হাবিবুল্লাহ বাড়ির সাথে ৬ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি মাদরাসা করেছেন। বাড়ির কেয়াটেকার আব্দুল কাদের জুলহাস জানান, গ্রামের বাড়িসহ এলাকাতে ১৫ বিঘার বেশি সম্পত্তি রয়েছে তার। বাড়ি ও এসব সম্পত্তি, মাদরাসা দেখাশোনা করেন তিনি। বাড়িতে কেউ না থাকলেও ইদের আগে তার মা নুর জাহান বেগমকে গ্রামের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হয়। আব্দুল কাদের জুলহাসের ভাষ্যমতে ঢাকায় তার মালিকের ভবনে আব্দুল্লাহ নামের যে জঙ্গি নিহত হয়েছে সে দীর্ঘ কয়েক বছর বাসা ভাড়া নিয়ে রয়েছে। তারা তাকে সৌখিন কবুতর ব্যবসায়ী হিসেবে জানতো। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জানিয়েছেন, ঢাকার মিরপুরে হাবিবুল্লাহ বাহার আজাদ মাঝে মধ্যে তার ওই ভবনে খাসি জবাই করে বিভিন্ন ধরনের মানুষকে আপ্যায়ন করতো। সেখানকার এক এমপির সাথে সখ্য রয়েছে এ ভবন মালিকের। শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন জানান, আমরাও বিভিন্নভাবে শুনতে পাচ্ছি ভবন মালিকের বাড়ি ঝিনাইদহের শৈলকুপার বিত্তিদেবী রাজনগর গ্রামে। তবে এখনও পর্যন্ত সরকারিভাবে কোনো তথ্য থানায় আসেনি। মঙ্গলবার টিভিতে র্যাবের এই অভিযান ও ভবন মালিক হাবিবুল্লাহ বাহার আজাদের আটকের খবরে স্থানীয়দের মাঝে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।