স্টাফ রিপোর্টার: ভারতের সাথে চুক্তি নিয়ে খালেদা জিয়ার সমালোচনার প্রতিক্রিয়ায় শেখ হাসিনা বলেছেন, তিনি কিছু না লুকিয়ে সব প্রকাশ্যেই করেছেন। ভারত সফর নিয়ে মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনের পর বুধবার তার প্রতিক্রিয়া নিয়ে সাংবাদিকদের সামনে আসেন বিএনপি চেয়ারপারসন। সংবাদ সম্মেলনে তার বক্তব্য নিয়ে গণভবনে আওয়ামী লীগের কাযনির্বাহী সংসদের সভায় প্রতিক্রিয়া জানান শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি নেত্রী সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, জনগণকে নাকি সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখেই আমরা সমঝোতা স্মারক করেছি। আমি শুধু তাকে একটা কথা জিজ্ঞেস করি, ডিফেন্স চুক্তি যখন চীনের সাথে করেছিলেন, তখন কার সাথে আলোচনা করে উনি করেছিলেন। কেউ তো দেখেনি। ‘অন্তত উনার মতো তো আমরা চুপকে চুপকে করি নাই, চুপি চুপি করি নাই।’ ভারতের সঙ্গে চুক্তি করার আগে তা মন্ত্রিসভায় তোলা হয়েছিল জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সফরের আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সংবাদ সম্মেলনে করেছেন এবং চুক্তির পর যৌথ বিবৃতিতে তা প্রকাশ করা হয়েছে। এখন কেউ যদি চোখ থাকিতে অন্ধ হয়, তাহলে আমার কিছু করার নেই। উনার অবস্থা হয়েছে উনি চক্ষু থাকিতে অন্ধ, আর যার চক্ষু থাকিতে অন্ধ তার কপাল মন্দ।
শেখ হাসিনা বলেন, ভারতের সঙ্গে স্বাক্ষরিত চুক্তি-সমঝোতা স্মারকে বাংলাদেশই লাভবান হয়েছে। কারণ আমরা সেখান থেকে বিদ্যুতও আনতে পারব, পাইপলাইনে ডিজেল নিয়ে আসব, এলএনজি নিয়ে আসার মাধ্যমে গ্যাসের সমস্যার সমাধান হবে। এক শতাংশ সুদে ৫০০ কোটি ডলার ঋণ পাওয়ার কথাও বলেন তিনি। উনি বলছেন,আমি তিস্তার পানি আনতে পারিনি। খালেদা জিয়াও তো ক্ষমতায় ছিল। সে ক্ষমতায় থাকতে তিস্তার পানি আনতে পারে নাই কেন? সে জবাবটা আগে দিক।
শেখ হাসিনা বলেন, জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় থাকার সময় তিস্তা নদীতে গজলডোবায় যখন ভারত ব্যারেজ করলেও তখন কোনো প্রতিবাদ জানানো হয়নি বলে এখন তার খেসারত বাংলাদেশকে দিতে হচ্ছে। ১৯৯১ সালে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে খালেদা জিয়া ভারত সফরে গিয়ে গঙ্গার পানির কথা বলতে ভুলে যাওয়ার কথাও মনে করিয়ে দেন শেখ হাসিনা। এতই খোসামোদি, তোসামোদি আর তাবেদারিতে ব্যস্ত ছিলো যে গঙ্গার পানির কথা উল্লেখই করেন নাই। স্থল সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়ন নিয়েও তিনি বলেন, বিএনপি তা পারেনি কেন? এই ব্যর্থতার কি জবাব তিনি জাতির সামনে দেবেন? তার ব্যর্থতা তার স্বামীর ব্যর্থতা।