স্টাফ রিপোর্টার: ব্লগার আহমেদ রাজীব হায়দার শোভনকে হত্যার দায়ে রেদোয়ানুল আজাদ রানা ও ফয়সাল বিন নাইম ওরফে দ্বীপের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছে হাইকোর্ট। একইসঙ্গে অপর ছয় আসামিকে দেয়া বিভিন্ন মেয়াদের সাজাও বহাল রাখা হয়েছে। ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানি গ্রহণ করে বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের ডিভিশন বেঞ্চ গতকাল রবিবার এই রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে বলা হয়, মসজিদের একজন ইমামের দায়িত্ব হলো মুসল্লিদের নামাজ পড়ানো। ইসলাম সম্পর্কে সঠিক দিক-নির্দেশনা দেয়া। তিনি এমন কোনো বয়ান দেবেন না যা দেশের প্রচলিত আইন বহির্ভূত। যদি কেউ ইসলাম এবং হযরত মুহাম্মদ (সা.) অথবা যে কোনো ধর্ম নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেন তাহলে দেশের প্রচলিত আইনেই তার বিচারের সুযোগ রয়েছে। আইন নিজের হাতে তুলে নেয়ার অধিকার কারো নেই। কারো ধর্ম সম্পর্কে কোনো ব্যক্তির কোনো ধরনের কটাক্ষ করা উচিত নয়।
রায়ে বলা হয়, এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ মামলায় সেই সব তদন্তকারী কর্মকর্তাকে নিয়োগ করা উচিত যাদের দেশের জনগণের জন্য কাজ করার প্রতিশ্রুতি রয়েছে। যারা আন্তরিকতার সঙ্গে মেধা ও দক্ষতার সর্বোচ্চটুকু দেয়ার চেষ্টা করবে। তাহলেই এ ধরনের অপরাধ সমাজ তথা দেশ থেকে হ্রাস পাবে। দেশের স্বার্থে পুলিশের আইজি অবশ্যই বিষয়টি আন্তরিকতার সঙ্গে দেখবেন।
২০১৩ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পল্লবীতে নিজ বাসার সামনে ব্লগার রাজীবকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় ২০১৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৩ ওই হত্যার দায়ে মূল পরিকল্পনাকারী রানা ও দ্বীপকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। এছাড়া মাকসুদুল হাসান অনিককে যাবজ্জীবন, মো. এহসান রেজা রুম্মান, নাফিজ ইমতিয়াজ ও মো. নাইম শিকাদরকে ১০ বছর এবং সাদমান ইয়াছির মাহমুদকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেয় আদালত।