চুয়াডাঙ্গা জেলা লোকমোর্চার বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত
স্টাফ রিপোর্টার: নাগরিক সংগঠন চুয়াডাঙ্গা জেলা লোকমোর্চার বার্ষিক সাধারণ সভা ও প্রীতিভোজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার চুয়াডাঙ্গার দর্শনা কেরুজ ট্রেনিং কমপ্লেক্সে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত আলোচনাসভা, র্যাফেল ড্র ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে আনন্দঘন পরিবেশে লোকমোর্চার নেতৃবৃন্দ ও সদস্যরা দিনটি উদযাপন করেন। জেলা লোকমোর্চার সভাপতি অ্যাডভোকেট আলমগীর হোসেনের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য ও সাধারণ সম্পাদকের বার্ষিক প্রতিবেদন পেশ করেন জেলা লোকমোর্চার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমএম শাহজাহান মুকুল। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন লোকমোর্চার প্রধান উদ্যোক্তা ও ওয়েভ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক মহসীন আলী।
ওয়েভ ফাউন্ডেশনের উপ-নির্বাহী পরিচালক ও জেলা লোকমোর্চার কার্যনির্বাহী সদস্য আনোয়ার হোসেনের সঞ্চালনায় অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা লোকমোর্চার সভাপতি শহিদুল হক বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক পারভীন লায়লা, দামুড়হুদা উপজেলা লোকমোর্চার সভাপতি হাউলী ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী শাহ মিন্টু, সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, জীবননগর উপজেলা লোকমোর্চার সভাপতি আবুল কালাম আজাদ ও সাধারণ সম্পাদক উপজেলা চেয়ারম্যান আবু মো. আব্দুল লতিফ অমল। অন্যান্যের মধ্যে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন জেলা লোকমোর্চার সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম সনি, অ্যাড. বেলাল হোসেন, অ্যাড. হেদায়েত হোসেন আসলাম, অ্যাড. আহসান আলী, মফিজুর রহমান মনা, রাশেদুল ইসলাম, সোহরাব হোসেন, রহমত উল্লাহ, আবদুল আজিজ, কোহিনুর বেগম, রেণুকা আক্তার রীতা, শেফালী খাতুন, লিটু বিশ্বাস প্রমুখ। অনুষ্ঠানে জেলার উপজেলা ও ইউনিয়ন লোকমোর্চার নেতৃবৃন্দসহ নির্বাহী সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। অনেক বক্তা বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ধরে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তারা বর্তমান জেলা লোকমোর্চাকে আরও সোচ্চার ভূমিকা রাখার তাগিদ দিয়ে বক্তব্য রাখেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওয়েভ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক মহসীন আলী প্রস্তাব করেন, ‘জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিমাসে লোকমোর্চার কম পক্ষে একবার মিটিং করতে হবে। তিনি বলেন জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে অফিস চূড়ান্ত করা হয়েছে। নিজেদের মধ্যে সামান্য ভুল বোঝাবুঝির কারণে লোকমোর্চার গতি কিছুটা কমে গিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সব কিছুর অবসান ঘটিয়ে নতুন উদ্যমে লোকমোর্চাকে আবার কাজ শুরু করতে হবে।’ আলোচনা শেষে প্রীতিভোজ, র্যাফেল ড্র ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। র্যাফেল ড্র অনুষ্ঠানে প্রথম পুরস্কার বিজয়ী হন জেলা লোকমোর্চার প্রচার সম্পাদক ছড়াসম্রাট আহাদ আলী মোল্লা ও দ্বিতীয় পুরস্কার জেতেন জেলা লোকমোর্চার সভাপতি অ্যাড. আলমগীর হোসেনের সহধর্মিণী দামুড়হুদার ওদুদ শাহ ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক নিলুফা বানু। র্যাফেল ড্র পরিচালনা করেন আবু মো. আব্দুল লতিফ অমল ও এমএম শাহজাহান মুকুল। অনুষ্ঠানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন ওয়েভ ফাউন্ডেশনের কামরুজ্জামান যুদ্ধ, নুঝাত পারভীন, শামীম আজাদ, কানিজ সুলতানা ও সঞ্জয়।