স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার টাউন ফুটবলমাঠে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলা। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রোগ্রামের সহায়তায় এবং চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের আয়োজনে গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ৩টায় এ মেলা উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক সায়মা ইউনুস। এর আগে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে থেকে একটি র্যালি বের করা হয়। র্যালি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে টাউন ফুটবল মাঠে আয়োজিত মেলা প্রাঙ্গণে শেষ হয়।
পরে আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়। সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) আবদুর রাজ্জাক। প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক সায়মা ইউনুস। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান সেখ সামসুল আবেদীন খোকন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ছুফী উল্লাহ, পৌর মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরী জিপু, সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর সিদ্দিকুর রহমান, সরকারি আদর্শ মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর নওরোজ মোহাম্মদ সাঈদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সী আলমগীর হান্নান প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক মুন্সি আবু সাঈদ।
জেলা প্রশাসক বলেন, সরকারি দফতরগুলো এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর বিভিন্ন জনমুখি ডিজিটাল সেবা সম্পর্কে জনগণকে অবহিত করতে এ মেলার আয়োজন করা হয়েছে। এ মেলার মাধ্যমে জনগণ তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারে আরও বেশি আগ্রহী হবে এবং সরকারি-বেসরকারি অনলাইন ও ইনোভেটিভ সেবা নিয়ে ধারণা তৈরি হবে। অনুষ্ঠানে অতিথিবৃন্দ মেলা প্রাঙ্গণে স্টল ঘুরে দেখে। এ মেলায় মেলায় সরকারি-বেসরকারি ৭০টি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করেছে।
মেহেরপুর অফিস জানিয়েছে, আজ শুক্রবার থেকে মেহেরপুরে শুরু হচ্ছে ডিজিটাল উদ্বাধনী মেলা। মেলাস্থল শহরের শহীদ ড. সামসুজ্জোহা পার্কে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে জেলা প্রশাসন। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে প্রেসব্রিফিংয়ে মেলা আয়োজনের সার্বিক দিক তুলে ধরেন স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক খায়রুল হাসান।
তিনি তার বক্তব্যে বর্তমান সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির বর্ণনা দিয়ে বলেন, আজ থেকে ৫ বছর আগে ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি নিয়ে অনেক আলোচনা-সমালোচনা ছিলো। বাস্তবায়ন নিয়ে অনেকেই চ্যালেঞ্জ করেছিলেন। কিন্তু সরকার এতো দ্রুত যে এটি বাস্তবায়ন করতে পারবে তা কেউ স্বপ্নেও ভাবেনি। জেলার সরকারি-বেসরকারি দফতর, মিডিয়া, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তথ্য প্রযুক্তির কয়েকটি কার্যক্রমের বর্ণনা দিয়ে তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশকে একটি উন্নত রাষ্ট্রের কাতারে নিতে ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি এক গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।
মেলা বিষয়ে তিনি বলেন, শুক্রবার থেকে রোববার পর্যন্ত তিন দিনব্যাপী মেলার আয়োজন করা হয়েছে। জেলার সরকারি-বেসরকারি ৫৮টি প্রতিষ্ঠান ৩৭টি স্টলে তাদের কর্মকাণ্ড তুলে ধরবে। শুক্রবার সকাল দশটায় প্রধান অতিথি হিসেবে উদ্বোধন ঘোষণা করবেন মেহেরপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ফরহাদ হোসেন।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) দিক নির্দেশনায় আয়োজিত মেলায় থাকছে মাল্টি মিডিয়া ক্লাসরুম বিষয়ক সেমিনার। তথ্য অফিস কর্তৃক ডিজিটাল বাংলাদেশ বির্নিমাণ বিষয়ক প্রামাণ্য ভিডিওচিত্র প্রদর্শন। জন অংশীদারত্বমূলক অনুষ্ঠান, শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে রচনা প্রতিযোগিতা, উন্মুক্ত কুইজ প্রতিযোগিতা ও প্রতিদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় অনুষ্ঠিত হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে মেলোডিয়াস, জেলা ও গাংনী উপজেলা শিল্পকলা একাডেমি গান, নৃত্য পরিবেশন করবে। এছাড়াও তরুণ উদ্যেক্তাদের উদ্ভাবন প্রদর্শনী থাকছে। জেলার যেকোনো উদ্যেক্তা তথ্যপ্রযুক্তির উদ্ভাবন প্রদর্শন করতে চাইলে তাদেরকেও সুযোগ দেয়ার কথা বলেন তিনি।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রশিদুল মান্নাফ কবীর। উপস্থিত ছিলেন এনডিসি রামানন্দ পাল ও সহকারী কমিশনার আরিফ হোসেন, মেহেরপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি রুহুল কুদ্দুস টিটো, সাংবাদিক ও কলামিস্ট রফিক-উল আলমসহ জেলায় কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।