দেশের টুকিটাকি : জোবায়দার মামলা বাতিলের রায় যেকোনো দিন

চলে গেলেন বেগমজাদী মেহেরুন্নেসা পারুল
স্টাফ রিপোর্টার: ঢাকা থিয়েটার ও বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটারের জেষ্ঠ্য সদস্য, নাট্যাচার্য সেলিম আল দীনের সহধর্মিনী বেগমজাদী মেহেরুন্নেসা পারুল চলে গেলেন না ফেরার দেশে (ইন্নাল্লিাহে…….রাজেউন)। গতকাল মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর হলিফ্যামিলি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি  শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। গত ২ জানুয়ারি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পিত্তথলিতে পাথরের কারণে ৭ জানুয়ারি শনিবার অপারেশন করা হয়। ১৯৭৪ সালে নাট্যাচার্য সেলিম আল দীনের সাথে তাঁর বিয়ে হয়। তাদের একমাত্র সন্তান মইনুল হাসানও অকালে মৃত্যুবরণ করেছেন। আর সেলিম আল দীন পরলোকগমন করেছেন ১৪ জানুয়ারি ২০০৮ সালে। স্বামীর মৃত্যুবার্ষিকীর চারদিন আগে তিনিও চলে গেলেন।  বেগম মেহেরুন্নেসা পারুল টাঙ্গাইলের করটিয়া কলোনীতে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা প্রফেসর মোকছেদ আলী খান টাঙ্গাইলের করটিয়ার সরকারি সাদাত কলেজে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে অধ্যাপনা করতেন এবং পরবর্তীতে ওই কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন। মা আনোয়ারা বেগম ছিলেন গৃহিণী।
পাঠ্যবইয়ে ভুল: এবার এনসিটিবির চিত্রকর বরখাস্ত
স্টাফ রিপোর্টার: নতুন পাঠ্যপুস্তক ভুলের ঘটনায় জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোডের (এনসিটিবি) দুই কর্মকর্তাকে ওএসডির পর এবার আর্টিস্ট কাম ডিজাইনারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের উপ-সচিব সুবোধ চন্দ্র ঢালী মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বলেন, প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে আর্টিস্ট কাম ডিজাইনার সুজাউল আবেদীনকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে এনসিটিবি। প্রথম শ্রেণির বাংলা বইয়ে ‘শুনি ও বলি’ পাঠে একটি ছাগলের ছবি দিয়ে লেখা হয়েছে, অজ (ছাগল) আসে। আম খাই। এক সময় অ-তে অজগর শেখানো হলেও তার বদলে শিশুদের বইয়ে প্রায় অপ্রচলিত ‘অজ’ শব্দের ব্যবহার সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। আবার আম খাওয়া বোঝাতে একটি আম গাছের নিচের অংশে দুই পা তুলে একটি ছাগলের দাঁড়িয়ে থাকায় ছবি দেয়া হয়েছে সেখানে। এই ছবি নিয়ে কেউ কেউ ফেইসবুকে লিখেছেন, ‘ছাগল নাকি গাছে উঠে আম খায়?’ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, দুই পা তুলে ছাগলের আম গাছে ওঠার যে ছবিটি নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে, সেটা সুজাউল এঁকেছিলেন।
জোবায়দার মামলা বাতিলের রায় যেকোনো দিন
স্টাফ রিপোর্টার: সম্পদের তথ্য গোপনে দুদকের করা মামলা বাতিল চেয়ে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের করা রিটের রায় যেকোনো দিন ঘোষণা হতে পারে। গতকাল মঙ্গলবার বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথের হাইকোর্ট  বেঞ্চ মামলা বাতিলে জারি করা রুল শুনানি শেষে রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ (সিএভি) রাখেন। আদালতে জোবায়দা রহমানের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী। তাকে সহযোগিতা করেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল ও ব্যারিস্টার রাগীব রউফ চৌধুরী। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। এর আগে ২০১৬ সালের ২ নভেম্বর জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে করা আবেদনটি শুনতে বির্বত বোধ করেছিলেন বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ। পরে নিয়ম অনুযায়ী প্রধান বিচারপতি মামলাটি শুনানির জন্য বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধী বেঞ্চে পাঠান। অবৈধ উপায়ে সম্পদ অর্জন এবং সম্পদের যাবতীয় তথ্য গোপন করার জন্য তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবায়দা রহমানসহ তারেকের শাশুড়ি ইকবাল এম আর বানুর বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর মামলা দায়ের করে দুদক।