চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদার দলকা বিলকে ভুয়া সমিতির দখলমুক্ত করে বৈধ মৎসজীবী সমিতির নামে বরাদ্দের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন
স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার দলকা বিলকে ভুয়া সমিতির দখল মুক্ত করে বৈধ মৎসজীবী সমিতির নামে বরাদ্দের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ওই বিলের বঞ্চিত মৎসচাষিরা। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমির মুক্তমঞ্চে ওই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে দলকা-মরাগাংনী মৎসজীবী সমবায় সমিতি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সমিতির সভাপতি ওমর আলী, জেলা কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমানসহ আরও অনেকে। এতে লিখিত বক্তব্য বক্তব্য পড়ে শোনান সংগঠনের সদস্য ওয়াহেদ আলী। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, সরকারি জলমহল নীতিমালাকে উপেক্ষা করে অমৎসজীবীদের নিয়ে ভাই ভাই মৎসজীবী সমবায় সমিতি নামে একটি ভুয়া সমিতি গঠন করা হয়েছে। এতে প্রকৃত মৎসজীবীরা বঞ্চিত হয়েছেন। এছাড়া অমৎসজীবীদের তালিকা তৈরি করে তাদের সরকারি পরিচয়পত্র দেয়া হয়েছে। অবিলম্বে ওই ভুয়া সমিতি বাতিল করে প্রকৃত মৎসজীবীদের সমন্বয়ে গঠিত সমিতিকে বৈধতা দেয়াসহ তাদের সরকারি পরিচয়পত্র দেয়ার দাবি জানানো হয়। সমিতির অন্য দু সদস্য মোজাম্মেল হক ও আশাদুল হক অভিযোগ করে বলেন, বিষয়টি বারবার জেলার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ মৎস্য কর্মকর্তাদের অবহিত করলেও কোনো লাভ হয়নি। বরং জেলা মৎস্য কর্মকর্তা সাফ জানিয়ে দেন ওপর মহলের চাপের কথা। ভুয়া মৎসজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান লিটন তার বাহিনী দিয়ে দলকা বিল জবরদখল করে মাছ চাষের নামে অর্থ লোপাট করছেন। তার নামে পুলিশ ক্যাম্পে হামলাসহ একাধিক মামলা থাকলেও পুলিশ তার টিকি ছুঁতে পারেনি। ক্যাম্পের পাশেই তার অফিস। এছাড়া থানা ও পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে অবাধ চলাফেরা থাকলেও পুলিশ তাকে গ্রেফতার করছে না। সব অফিসের কর্মকর্তারাই যেন তার কেনা। তার দৌরাত্মে অতিষ্ঠএলাকাবাসী। তিনি দলকা বিলে প্রকৃত মৎসজীবীদের বাদ দিয়ে অমৎসজীবীদের নিয়ে গড়ে তুলেছেন ভাই ভাই মৎসজীবী সমবায় সমিতি নামে একটি ভুয়া সমিতি। এতে প্রকৃত মৎসজীবীরা পড়েছেন বিপাকে। তাদের একমাত্র আয়ের উৎস থেকে বঞ্চিত হয়েছেন তারা। দিন কাটাচ্ছেন অনাহারে। তাই লিটনের দৌরাত্ম থেকে দলকা বিলকে রক্ষা করে প্রকৃত মৎসজীবীদের নামে বিল বরাদ্দ ও সরকারি পরিচয়পত্র দেয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায় বঞ্চিত মৎসজীবীরা ভূমি মন্ত্রণালয়ে গিয়ে অভিযোগ দাখিলসহ বৃহত্তর কর্মসূচি দেবে বলেও হুঁশিয়ারি দেয়া হয়।