ঘুষ বাণিজ্য ঝিনাইদহ সওজের নির্বাহী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা

 

গিয়াস উদ্দীন সেতু: ঝিনাইদহ সড়ক বিভাগের বিদায়ী নির্বাহী প্রকৌশলী রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে ঘুষ বাণিজ্য ও লুটপাটের খবর বেরিয়ে আসছে। সাড়ে ১২ লাখ টাকা ঘুষ নিয়ে কাজ না দেয়ায় হাসান আসকারী নামে এক ঠিকাদার আদালতে মামলা ঠুকে দিয়েছেন। এর আগে টাকা আদায়ে নির্বাহী প্রকৌশলী রফিকুল ইসলামকে উকিল নোটিশ পাঠিয়ে ৭ দিনের মধ্যে টাকা দিতে বলা হয়। বাদী তার অভিযোগ উল্লেখ করেছেন, ঝিনাইদহ সড়ক বিভাগে ঠিকাদারি কাজ করার সুবাদে নির্বাহী প্রকৌশলীর সাথে ঘনিষ্ঠতা গড়ে ওঠে। ফলে আর্থিক সুবিধা নিয়ে মাঝে মধ্যে বাদীকে ঠিকাদারি কাজ দিতেন। একপর্যায়ে ঠিকাদার হাসান আসকারীকে আরও কাজ দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ২০ লাখ টাকা দাবি করেন নির্বাহী প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম। কাজ পাওয়ার আশায় বাদী নির্বাহী প্রকৌশলীকে ২০১৫ সালের ২ নভেম্বর জরৈক নায়েব আলীর অ্যাকাউন্টে ৫ লাখ টাকা, ২০১৬ সালের ২ মে ৫ লাখ টাকা ও ২০১৬ সালের ১৬ মে জনৈক নুরুন্নবীর অ্যাকাউন্টে আড়াই লাখ টাকা প্রদান করেন। টাকা দেয়ার পর নির্বাহী প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম কাজ দেয়ার নাম করে ঠিকাদার হাসানকে ঘুরাতে থাকেন। একপর্যায়ে ১২ আগস্ট নির্বাহী প্রকৌশলী সাক্ষীদের সামনে তাকে টাকা দিতে অস্বীকার করেন। উপায়ন্তর না পেয়ে ঠিকাদার ন্যায়বিচার পেতে আদালতের আশ্রয় নেন বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন। বাদীপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাড. সাদাতুর রহমান হাদী।

উল্লেখ্য, ঝিনাইদহ সওজের বিদায়ী নির্বাহী প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম ডিপিএম, এলটিএম ও আরটিএম কোটেশনের নামে সরকারের প্রায় দেড় কোটি টাকা তুলে নিয়েছেন। তার সাথে ঝিনাইদহ সওজ বিভাগের এসডি নজরুল ইসলাম, এসও আওলাদ হোসেন, এসও মনিরুল ইসলাম ও এসও আহসানুল কবির জড়িত বলে ঠিকাদারদের একটি সুত্র জানায়। রফিকুলের দায়িত্বকালে ঝিনাইদহ সড়ক বিভাগ লুটপাটের আখড়ায় পরিণত হয়। সরকারের রাস্তা উন্নয়নের টাকা ভুয়া পাইলিং, রং, রাস্তার পাশ পরিষ্কার, মালামাল সাপ্লাই, বালি, ইট ও মাটির কাজ দেখিয়ে হরিলুট করা হয়েছে। এছাড়া এক লাখ, পঞ্চাশ হাজার ও ২৫ হাজারের (বিলো) নিচে প্রায় দুইশ ভুয়া কোটেশন দেখিয়ে সরকারের রক্ষণাবেক্ষণ খাতের টাকা তছরূপ করা হয়েছে। ঝিনাইদহ-চুয়াডাঙ্গা-মুজিবনগর মহাসড়ক নির্মাণ প্রকল্পে লাখ লাখ টাকা হরিলুট করা হয়েছে। ফলে ৬ মাসের মাথায় কোট কোটি টাকার রাস্তা নষ্ট হয়ে গেছে। এ বিষয়ে ঝিনাইদহ সড়ক বিভাগের নবাগত নির্বাহী প্রকৌশলী সেলিম আজাদ খান জানান, আমি নতুন এসেছি। আগে কি হয়েছে তা আমার জানা নেই।

 

Leave a comment