শুরুতেই চুয়াডাঙ্গায় শিক্ষক নির্বাচনে অনিয়ম : বঞ্চিতরা ক্ষুব্ধ!

প্রাথমিক শিক্ষাকে যুগোপযোগী করতে জানুয়ারিতে চালু হচ্ছে দীর্ঘমেয়াদী ডিপিএড কোর্স

 

স্টাফ রিপোর্টার: ডিপ্লোমা-ইন-প্রাইমারি এডুকেশন (ডিপিএড) প্রশিক্ষণ কোর্স চালুর প্রথম বছরেই চুয়াডাঙ্গায় অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। চুয়াডাঙ্গার কমলাপুর প্রাথমিক শিক্ষক ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে (পিটিআই) ২০১৭ সালের জানুয়ারি থেকে শুরু হতে যাওয়া হওয়া এই প্রশিক্ষণে জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন করে কনিষ্ঠ শিক্ষকদের সুযোগ দেয়া হয়েছে। এতে বঞ্চিত শিক্ষকদের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে ক্ষোভ।

ময়মনসিংহে অবস্থিত জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমীর- নেপ’র ওয়েবসাইট সূত্রে জানা গেছে, প্রাথমিক শিক্ষাকে যুগোপযোগী, গুণগত মানোন্নয়ন, শিক্ষকদের মানোন্নয়ন এবং শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের নৈতিক শিক্ষা দেয়ার লক্ষ্যে ২০১৭ সালের জানুয়ারি থেকে সারাদেশের চালু হচ্ছে ডিপিএড প্রশিক্ষণ। দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা একবছর মেয়াদী সার্টিফিকেট-ইন-প্রাইমারি এডুকেশন ( সিইনএড)  কোর্সের পর এবার  ১৮ মাসব্যাপী ডিপ্লোমা-ইন-প্রাইমারি এডুকেশন (ডিপিএড) কোর্স চালু করা হয়েছে। দীর্ঘমেয়াদী এই প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত মাস্টার ট্রেইনারদেরকেও প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।

কমলাপুর প্রাথমিক শিক্ষক ট্রেনিং ইনস্টিটিউট (পিটিআই) সূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মোট ৯৫ জন শিক্ষক প্রথম দফার এই প্রশিক্ষণে অংশ নিতে যাচ্ছেন। নির্ধারিত সময় ৩০ নভেম্বরের মধ্যে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয় থেকে ওই ৯৫ জনের নামের তালিকাও পাঠানো হয়েছে। যার মধ্যে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ২৬, দামুড়হুদার ২৮, জীবননগরের ১৭ ও আলমডাঙ্গার ২৪ জন রয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষক অভিযোগ করেন, এবার নামের তালিকা তৈরির সময় যথাযথ নিয়ম মানা হয়নি। জ্যেষ্ঠদের বাদ রেখে কনিষ্ঠদের সুযোগ করে দেয়া হয়েছে। এমনকি ২০১২-২০১৩ সালে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকরা প্রশিক্ষণের সুযোগ না পেলেও ২০১৫-২০১৬ সালে নিয়োগপ্রাপ্তরা সুযোগ পেয়েছেন।

আলমডাঙ্গা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে পিটিআইতে প্রেষণে পাঠাতে মোট ১৯ জনের নামের তালিকা তৈরি ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। অথচ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয় থেকে ওই উপজেলার অনুকূলে ২৪ জনের নামের তালিকা পিটিআইতে পাঠানো হয়েছে। এসব অনিয়মের কারণে প্রকৃত উপকারভোগী শিক্ষকরা দীর্ঘমেয়াদী এই প্রশিক্ষণ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এতে গোটা জেলায় প্রাথমিক শিক্ষকদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। বঞ্চিত একাধিক শিক্ষক দাবি করেন, একজন সৎ, দক্ষ, জীবনমুখি ও দৃঢ় মানসিকতা সম্পন্ন মানুষ গড়ে তুলতে এই প্রশিক্ষণ বড় ধরনের ভূমিকা রাখবে। কিন্তু, দাপ্তরিক অনিয়মের কারণে তারা সে সুযোগ পেলেন না।

 

Leave a comment