স্টাফ রিপোর্টার: অবশেষে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি না পেয়েই পরপারে পাড়ি জমালেন চুয়াডাঙ্গা দৌলাতদিয়াড়ের যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা আজিজুল ইসলাম (ইন্নালিল্লাহে…..রাজেউন)। গতকাল রোববার বেলা সাড়ে ৫টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে তিনি মারা যান।
চুয়াডাঙ্গা শহরতলির দৌলাতদিয়াড় ফায়ার সার্ভিসপাড়ার মৃত দরবার আলীর মেজ ছেলে আজিজুল ইসলামকে (৭৩) গত ২৩ নভেম্বর রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গত শনিবার তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। আজিজুল ইসলাম ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধকালীন পাকা হানাদারের গুলিতে ডান হাত হারান। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাক্ষরিত প্রাধনমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল হতে অনুদানপ্রাপ্ত আজিজুল ইসলাম জীবদ্দশায় মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পাননি। তার পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। তিনি ছিলেন খুব জেদী মানুষ। বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল হতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাক্ষরিত সনদপত্র থাকার পরেও তিনি কোন রাষ্ট্রীয় মর্যাদা বা ভাতাদি পাননি। তবে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য তিনি চেষ্টা করলেও এক জায়গায় তার কাছে উৎকোচ চাওয়ার কারণে তিনি বেঁকে বসেন। বলেন ‘দেশের জন্য যুদ্ধ করেছি। একজন মুক্তিযোদ্ধা হয়ে তার স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য কাউকে ঘুষ দেবো না।’ মুক্তিযোদ্ধা আজিজুল ইসলাম ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি মোহাম্মদ রিপন আলীন চাচা। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, চার ছেলে, এক মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। আজ সোমবার সকাল ১০টায় দৌলাতদিয়াড় সর্দারপাড়া ঈদগাহ ময়দানে আজিজুল ইসলামের জানাজা সম্পন্ন হবে এবং পার্শ্ববর্তী কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হবে। তার জানাজায় শরীক হওয়ার জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে সবাইকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।