প্রসন্ন-তাণ্ডব সামলে মাহমুদউল্লাহর জয়

 

স্টাফ রিপোর্টার: পারলেন না সেকুগে প্রসন্নে। অবিশ্বাস্য ব্যাটিঙে ঢাকা ডায়নামাইটসকে তার চেয়েও অবিশ্বাস্য এক জয়ের আশা দেখাচ্ছিলেন। ছক্কা–বৃষ্টি নামানো প্রসন্ন শেষ পর্যন্ত ছক্কা মারতে গিয়েই লং অফে ধরা পরলেন। খুলনা টাইটানস জিতে গেল ৯ রানে। ৮৩ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ধুঁক ছিলো ঢাকা। নেমেই দ্বিতীয় বলে ছক্কা হাঁকলেন প্রসন্ন। নয়ে নেমে কোনো ব্যাটসম্যানের এমন ছক্কায় তখন এমন কিছু মনে হয়নি। বরং নিভে যাওয়ার আগে দপ করে প্রদীপের জ্বলে ওঠাই মনে করিয়ে দিচ্ছিলো। ৬ ওভারে যে আরও ৬৯ করতে হবে ঢাকাকে! কিন্তু কেভন কুপারের এক ওভারে টানা তিন ছক্কায় নড়েচড়ে বসতে বাধ্য করলেন প্রসন্ন। ৭ ছক্কায় ১৮ বলেই ফিফটি ছুঁলেন, দলকেও নিয়ে গেলেন জয়ের দোরগোড়ায়। কিন্তু ৬ বলে যখন মাত্র ১০ রান দরকার, তখনই অষ্টম ছক্কাটি মারতে গিয়ে আউট শ্রীলঙ্কান অলরাউন্ডার (২২ বলে ৫৩ রান)। ম্যাচ জিতে গেল খুলনা।

এর আগে খুলনার ইনিংসটা ছিলো পুরোপুরি মাহমুদউল্লাহময়। বোলিঙে দু ম্যাচে শেষ ওভারের নায়ক হলেও ব্যাটিংয়ে মাহমুদউল্লাহকে পাওয়া যাচ্ছিলো গত ম্যাচগুলোতে। ৪ ম্যাচে মাত্র ৫১ রান। সর্বোচ্চ ৩২, সেটাও এসেছে সেই প্রথম ম্যাচে। অবশেষে পঞ্চম ম্যাচে এসে দেখা পাওয়া গেল ব্যাটসম্যান মাহমুদউল্লাহর। ৪৪ বলে ৬২ রানের দারুণ ইনিংসে দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন খুলনা অধিনায়ক।
ব্যাটিংয়ে নেমেছিলেন পঞ্চম ওভারে। ধীরে–সুস্থে গড়া ইনিংসটি থামলো ইনিংসের শেষ ওভারে। ততক্ষণে অবশ্য নিজের কাজটি সেরে নিয়েছেন, ৪টি চার ও ৪টি ছক্কায় পেয়েছেন এবারের বিপিএলে নিজের প্রথম ফিফটি। ইনিংসটি নিখুঁত ছিলো না। ৩৫ ও ৩৬ রানে দুবার জীবন পেয়েছেন। দুবারই দুর্ভাগা বোলারের নাম মোহাম্মদ শহীদ। এর মাঝে পরের ক্যাচটি হাতছাড়া করে সানজামুল ইসলাম তো মাহমুদউল্লাহকে তৃতীয় ছক্কাটি উপহার দিয়েছেন। কিন্তু ওই দুটি ঘটনাকে সরিয়ে রাখলে খুলনা অধিনায়কের ইনিংসটি ছিলো দৃষ্টি সুখকর।
অধিনায়কের ৬২ রানেই বেঁচে গিয়েছে খুলনা দল। না হলে ব্যাটসম্যানদের ইনিংস বড় না করতে পারার দোষে পুড়তে হতো টাইটানসদের। স্কোরের ইঙ্গিত দিয়েও ৫ উইকেটে ১৫৭ রানে থেমেছে খুলনার ইনিংস।
তবে এ লক্ষ্যটাকেই পাহাড়সম বানিয়ে ফেললো ঢাকার টপঅর্ডার। মোসাদ্দেক হোসেন ছাড়া ঢাকা ডায়নামাইটসের প্রথম সাত ব্যাটসম্যানের বাকিদের রান ৬, ২, ১১, ৭, ৮, ৪!
ঢাকার ভাগ্য ভালো নয়ে নামা সেকুগে প্রসন্নের এই ধারা থেকে বেরিয়ে আসতে ইচ্ছে হলো। কিন্তু তাতেও যে শেষ রক্ষা হলো না!

Leave a comment