ক্রাইস্টচার্চ টেস্টে বিপাকে পাকিস্তান

 

মাথাভাঙ্গা মনিটর: ক্রাইস্টচার্চ টেস্টে হারের মুখে সফরকারী পাকিস্তান। নিউজিল্যান্ডকে টার্গেট দেয়ার পথে তৃতীয় দিন শেষে ৩ উইকেট হাতে নিয়ে মাত্র ৬২ রানে এগিয়ে পাকিস্তান। প্রথম ইনিংসে নিউজিল্যান্ডকে ২০০ রানে গুটিয়ে দিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ৭ উইকেটে ১২৯ রান তুলতে সক্ষম হয় পাকিস্তান। এর আগে প্রথম ইনিংসে ১৩৩ রানে অলআউট হয়েছিলো মিসবাহ উল হকের দল। প্রথম দিন বৃষ্টিতে ভেস্তে যাবার পর দ্বিতীয় দিনের চা-বিরতির কিছুক্ষণ আগে পাকিস্তানকে ১৩৩ রানেই অলআউট করে দেয় নিউজিল্যান্ড। এরপর ব্যাট হাতে নেমে ৩ উইকেটে ১০৪ রান তুলে দিন শেষ করে কিউইরা। তৃতীয় দিনে সেই স্কোরটাকে খুব বেশি বড় করতে পারেনি স্বাগতিকরা। পাকিস্তানের পেসারদের বোলিং তোপে বাকি ৭ উইকেটে মাত্র ৯৬ রান যোগ করতে সমর্থ হয় নিউজিল্যান্ড। ৫৫ রান নিয়ে শুরু করে সেখানেই থেমে গেছেন অভিষেক ম্যাচ খেলতে নামা জিত রাভাল। ব্যর্থ হয়েছেন আগের দিন ২৯ রানে অপরাজিত থাকা হেনরি নিকোলসও। মাত্র ১ রান যোগ করে ৩০ রানে থামেন তিনি। এরপর চার ব্যাটসম্যানের ছোট ছোট ইনিংসে পাকিস্তানের স্কোর টপকে সমান ২শ রান স্পর্শ করে নিউজিল্যান্ড। বল হাতে অভিষেক ম্যাচে ৪১ রানে ৬ উইকেট নেয়া কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম ৬টি বাউন্ডারিতে ৩৭ বলে ২৯ রান করেন।

এছাড়া উইকেটরক্ষক বিজে ওয়াটলিং ১৮ রানে ফিরলে ২শ’র আগেই গুটিয়ে যাবার শঙ্কায় পড়ে নিউজিল্যান্ড। কিন্তু সেটি হতে দেননি দুই টেল-এন্ডার ও পেসার টিম সাউদি ও নিল ওয়াগনার। সাউদি ২২ ও ওয়াগনারের ২১ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংসে ২শ’ রানে পৌঁছতে সক্ষম হয় নিউজিল্যান্ড। পাকিস্তানের রাহাত আলী ৪টি, মোহাম্মদ আমির ও সোহেল খান ৩টি করে উইকেট নেন। প্রথম ইনিংসে ৬৭ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ২১ রানে পাকিস্তান শিবিরে আঘাত হানেন প্রথম ইনিংসে প্রতিপক্ষকে লন্ডভন্ড করে দেয়া নিউজিল্যান্ড পেসার ডি গ্র্যান্ডহোম। ব্যক্তিগত ৭ রানে ওপেনার সামি আসলামের উইকেট শিকার করেন গ্র্যান্ডহোম। এরপর রান তোলায় পারদর্শিতা দেখিয়েছেন আরেক ওপেনার আজহার আলী ও তিন নম্বরে নামা বাবর আজম। ফলে পাকিস্তানের দলীয় স্কোর ৫৮ রানে পৌঁছে যায়। তবে এই জুটি ভেঙ্গে নিউজিল্যান্ডকে খেলায় ফেরান পেসার ওয়াগনার। ২৯ রান করা বাবরকে শিকার করেন তিনি। বাবরকে বিদায়ের কিছুক্ষণ পর আবারো আঘাত হানেন ওয়াগনার। এবার তার শিকার হন অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান ইউনিস খান। এতে কিছুটা চাপে পড়ে যায় পাকিস্তান। সেই চাপ দূর করেন অধিনায়ক মিসবাহ উল হক ও আজহার। তবে জুটিতে ২৯ রান আসার পরই বিচ্ছিন্ন হয়ে যান তারা। মিসবাহকে ব্যক্তিগত ১৩ রানে থামিয়ে দেন সাউদি।

এরপর পাকিস্তান ইনিংসে ধস নামে। দলীয় ৯৩ রানে চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে মিসবাহ’র বিদায়ের পর, ১০৫ রানে সপ্তম উইকেট হারায় পাকিস্তান। এসময় পাকিস্তানের মূল সর্বনাশটা করেন কিউই পেসার ট্রেন্ট বোল্ট। আজহার ৩১, উইকেটরক্ষক সরফরাজ ২ ও মোহাম্মদ আমির ৬ রান করে বোল্টের শিকার হন।