কদর আলী সভাপতি ও কামরুল ইসলাম সম্পাদক পুনর্নির্বাচিত
মহাসিন আলী: মেহেরপুর জেলা ট্রাক ও ট্রাংকলরি শ্রমিক ইউনিয়নের ত্রিবার্ষিক নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচনে সভাপতি পদে কদর আলী ও সাধারণ সম্পাদক পদে কামরুল ইসলাম পুনঃরায় নির্বাচিত হয়েছন।
নির্বাচনে এক হাজার ৪৮৯ জন ভোটারের মধ্যে এক হাজার ২৮৪ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রদান করেন। নির্বাচনের ভোট গণনা শেষে নির্বাচন কমিশন ফলাফল ঘোষণা করেন। এতে সভাপতি পদে কদর আলী (মোমবাতি) ৬৯৭ ভোট পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নিজামুল ইসলাম রকেট (টেলিভিশন) ৫২৩ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন। সাধারণ সম্পাদক পদে কামরুল ইসলাম (আনারস) ৭৪২ ভোট পেয়ে পুনরায় নির্বাচিত হয়েছন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী কুতুবউদ্দীন বাবু (বাঘ) ৪৭১ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন।
এছাড়াও কার্যকরী সভাপতি পদে ওয়াদুদ আলী (ট্রাক) ৫১১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছানোয়ার হোসেন (মোটরসাইকেল) পেয়েছেন ২৫০ ভোট। সহসভাপতি পদে সাহাদ আলী (খেজুর গাছ) ৪২৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী গোলাম কিবরিয়া (মাবাইল) ভোট পেয়েছেন ৩০৭। যুগ্মসম্পাদক পদে মিয়ারুল ইসলাম (মই) ৭২৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মাসুদ করিম (হরিন) ভোট পেয়েছেন ৩৭৬। সহসাধারণ সম্পাদক পদে আসাদুজ্জামান টগর (গরুর গাড়ি) ৬৫৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মিনারুল ইসলাম (বাইসাইকেল) ভোট পেয়েছেন ৩৪০। সাংগঠনিক সম্পাদক পদে মিয়াজান আলী (তালা) ৬১৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কামাল শেখ রিংকু (ফুটবল) ৪৫৪ ভোট পেয়েছেন। প্রচার সম্পাদক পদে শহিদুল ইসলাম (সেলাইরেঞ্জ) ৪২৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রফিকুল ইসলাম (হাতুড়ি) পেয়েছেন ৪০৯ ভোট। লাইন সম্পাদক পদে ইউসুফ হোসেন খোকন (হাতি) ৬০৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আল আমিন (টায়ার) পেয়েছেন ৪৮৮ ভোট। কোষাধ্যক্ষ পদে আব্দুস সাত্তার (চেয়ার) ৬৮৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মুরাদ আলী (উড়োজাহাজ) পেয়েছেন ৪২৬ ভোট। সদস্য পদে জাহিদুল ইসলাম জুয়েল (মাছ) ৭২২ ভোট ও শমসের আলী (কাপ-পিরিচ) ৫২০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। এর আগে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত জেলা ট্রাক ও ট্যাঙ্কলরি শ্রমিক ইউনিয়নের ওয়াপদাপাড়াস্থ কার্যালয়ে বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলে।
নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন শিক্ষক রাহিনুর জামান পোলেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেন অ্যাড. মারুফ আহম্মেদ বিজন, সহকারী নির্বাচন কমিশনার ছিলেন অ্যাড. ইয়ারুল ইসলাম ও অ্যাড. কামরুল হাসান।