জীবননগর ব্যুরো: প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের প্রার্দুভাব প্রতিরোধে জীবননগরে প্রথম দিনে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ আংশিক সফল হয়েছে। কিছু দোকানপাট, হোটেল ও চায়ের দোকান খোলা থাকলেও অধিকাংশ দোকানি প্রশাসনের এ নির্দেশ পালন করে। এদিকে ৮০ জন থেকে বৃদ্ধি পেয়ে গতকাল মঙ্গলবার জীবননগরে হোম কোয়ারেন্টাইনের সংখ্যা ৮৯ জনে এসে দাঁড়িয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার জানালেন হোম কোয়ারেন্টাইনের আইন অধিকাংশই না মেনে বাইরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তাদেরকে ঘরে একাকী থাকতে বাধ্য করতে আজ হতে সেনা বাহিনীর সহায়তা নেয়া হচ্ছে। এ ব্যাপারে প্রশাসন অত্যান্ত কঠোর, কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।
জীবননগর উপজেলা প্রশাসন ও পৌরসভার সোমবার অনুষ্ঠিত যৌথসভায় করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে জীবননগর উপজেলা শহরসহ ৮টি ইউনিয়নের সকল হাট-বাজার ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান অনিদিৃষ্ট কালের জন্য বন্ধ রাখার নির্দেশ প্রদান করা হয়। যা সোমবার মধ্য রাত হতেই কার্যকর করা হয়। তবে এ নির্দেশের মধ্যে জরুরি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানসহ ফার্মেসি, নিত্যপ্রয়োজনী দ্রব্যাদি বিক্রেতা ও মুদি দোকান খুলে রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এ নির্দেশনার ফলে গতকাল মঙ্গলবার হতে জীবননগর উপজেলার অধিকাংশ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়। ফলে জনবহুল জীবননগর শহর অনেকটাই ফাঁকা হয়ে পড়ে। তবে কিছু কিছু দোকানপাট, মোবাইলের দোকন ও চায়ের দোকান খোলা রাখতে দেখা যায়। খুলে রাখা এসব চায়ের দোনানে টিভি চালিয়ে খরিদ্দার ধরে রাখার প্রচেষ্টাও অব্যাহত ছিলো।
পৌর সচিব জায়েদ হোসেন জানান, অধিকাংশ ব্যবসায়ী নির্দেশ মানলেও বেশ কিছু দোকানদার নির্দেশ অমান্য করে তাদের দোকান খুলে রাখতে দেখা গেছে। এদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিরাজুল ইসলাম জানান, বিদেশ ফেরত অধিকাংশ প্রবাসী হোম কোয়ারেন্টাইন আইন মানছেন না। অনেকে এখন পর্যন্ত তথ্য দিচ্ছেন না কিংবা কোন প্রকার যোগাযোগ না করে তথ্য গোপন করছেন। তিনি জানান, তথ্য গোপন করার কোনো সুযোগ নেই। ইমিগ্রেশন থেকে তালিকা দেয়া হয়েছে। তালিকা ধরে তাদেরকে খুঁজে বের করা হবে এবং হোম কোয়ারেন্টাইন কার্যকর করা হবে। প্রয়োজনে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। এদিকে গতকাল পর্যন্ত জীবননগর উপজেলায় হোম কোয়ারেন্টাইনের সংখ্যা ৮৯ জনে এসে দাঁড়িয়েছে বলে জানান এ প্রশাসনিক এ কর্মকর্তা।