আন্দুলবাড়িয়া প্রতিনিধি: জীবননগরে মোটরসাইকেলে প্রেস লিখে ও নিজেকে স্থানীয় একটি পত্রিকার সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে এক স্কুলছাত্রীকে ফুসলিয়ে ভাগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় জনতা এক ভুয়া সাংবাদিককে গণধোলাই দিয়েছে। গতকাল রোববার সকাল ৯টার দিকে জীবননগরের আন্দুলবাড়িয়া-আনছারবাড়িয়া রেলস্টেশন সড়কের আরআরএফ সংস্থার চৌরাস্তা মোড় থেকে জনতা তাদেরকে আটক করে গণধোলায় দিয়ে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেয়। সাংবাদিক পরিচয় দানকারী চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গা উপজেলার খাদিমপুর ইউনিয়নের রংপুর গ্রামের আব্দুল্লাহ আল্ মামুন ওরফে অন্তর (২১)। অন্তর রংপুর গ্রামের মতিয়ার রহমানের ছেলে ও আলমডাঙ্গার হারদী মীর শামসুল ইসলাম পলিট্রেনিক্যাল ইনস্টিটিউটের মেকানিক্যাল ইলেকট্রিক্যাল ২য় সেমিষ্টারের ছাত্র। অভিযুক্ত অন্তরকে বিদ্যালয়ে কর্তৃপক্ষ ৪ ঘণ্টা আটক রাখার পর অবশেষে জরুরিসভার মাধ্যমে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাকে অভিভাবকের জিম্মায় মুক্তি দিয়েছে।
এলাকাবাসীসূত্রে জানা গেছে, ধৃত আব্দুল্লাহ আল্ মামুন একটি টিভিএস মোটরসাইকেলের সামনে প্রেস লিখে ও নিজেকে চুয়াডাঙ্গা থেকে প্রকাশিত একটি পত্রিকার সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে আন্দুলবাড়িয়া বহুমুখী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির এক নাবালিকা স্কুলছাত্রীকে ভাগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলো। এসময় স্থানীয় জনতা মোটরসাইকেলসহ তাদেরকে পাকড়াও করে জিজ্ঞাসবাদ শুরু করে। জিজ্ঞাসাবাদে নাবালিকা স্কুলছাত্রী তাকে নানা প্রলোভন দেখিয়ে ভাগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ঘটনাটি অকপটে স্বীকার করলে স্থানীয় জনতা অন্তরকে গণধোলাই শেষ স্কুল কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেন। অভিযুক্ত আব্দুল্লাহ আল্ মামুন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নিকট তার কৃতকর্মের দোষ স্বীকার করলে দুপুর ১টার দিকে মুচলেকা নিয়ে তার অভিভাবকের জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়। তার দেয়া সাংবাদিকতার পরিচয় সম্পর্কে জানতে চাইলে সংশ্লিষ্ট পত্রিকা কর্তৃপক্ষ জানান, আব্দুল্লাহ আল্ মামুন ওরফে অন্তর নামে তাদের কোনো সাংবাদিক নেই।