স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার বুজরুকগড়গড়ি মাদরাসাপাড়া থেকে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার দুপুরে শ্বশুরবাড়ি থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। গতকালই গৃহবধূ পপি খাতুনের লাশের ময়নাতদন্ত শেষে দাফন সম্পন্ন হয়েছে। এ ঘটনায় পপি খাতুনের বাবা হামিদুল ইসলাম বাদি হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় চারজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় স্বামী শাকিলসহ শ্বশুর-শাশুড়িকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে, শাকিলের পরিবারের লোকজন জানিয়েছে, পপি খাতুন গলাই ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
জানা গেছে, প্রেমজ সম্পর্কের মাধ্যমে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আলুকদিয়া ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের হামিদুল ইসলামের মেয়ে পপি খাতুনের সাথে চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার আব্দুল কাদের পিরুর ছেলে শাকিল আহমেদের বিয়ে হয়। মামলার বাদি পপি খাতুনের পিতা হামিদুল ইসলাম জানান, বিয়ের পর থেকেই শাকিলের পরিবারের লোকজন যৌতুকের দাবিতে পপির ওপর নির্যাতন করতো। কিছুদিন আগে পপি শ্বশুরবাড়ি থেকে চলেও আসে। গত বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন পপিকে নিয়ে যায়। গতকাল শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে ওই এলাকার একজনের মাধ্যমে জানতে পারি, আমার মেয়ে মারা গেছে।
এদিকে, শাকিল আহমেদের পরিবারের লোকজন বলেছে, আসমানখালী গ্রামের মজনুর রহমানের ছেলে সোহেল রানার সাথে পপির সম্পর্কের সূত্র ধরে গতকাল সকালে শাকিলের সাথে মনোমালিন্য সৃষ্টি হয়। পরে বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে পপি গলাই ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ আবু জিহাদ ফখরুল আলম খান জানান, এ ঘটনায় পপির পিতা হামিদুল ইসলাম বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেন। মামলায় শাকিল আহমেদ, তার পিতা আব্দুল কাদের পিরু ও মা শিরিনা বেগমকে গ্রেফতার করা হয়েছে।