স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় আগামী ১৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনে কর্মসূচি পুনর্বিন্যস্ত করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরীর সাথে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে জেলা প্রশাসনের ভিডিও কনফারেন্সে এসব সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
ভিডিও কনফারেন্সিংয়ে জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ ইয়াহ ইয়া খান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মনিরা পারভীন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কনক কুমার দাস, আরএমও ডা. শামীম কবির, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদিকুর রহমান, আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার লিটন আলী, দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম মুনিম লিংকন, আদর্শ সরকারি মহিলা কলেজের উপাধ্যক্ষ রেজাউল করিম, কৃষি বিভাগের অতিরিক্ত উপপরিচালক সুফি মো. রফিকুজ্জামান, এনএসআই উপপরিচালক জামিল সিদ্দিক, ভিজে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহফুজুল হোসেন, এনডিসি সিব্বির আহমেদ, সহকারী কমিশনার আমজাদ হোসেন ও সুরাইয়া মমতাজসহ সরকারি বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
করোনা ভাইরাসের কারণে জনস্বার্থকে সবচেয়ে গুরুত্ব দিয়ে বড় কর্মসূচির পরিবর্তে ছোট ছোট সমাবেশ করতে হবে। জাতীয় কর্মসূচির সাথে মিল রেখে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কর্মসূচি ঠিক করতে হবে। ভিডিও কনফারেন্সে জাতীয় কমিটির পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, আগামী ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস পালন ও ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসের কুচকাওয়াজ ও সমাবেশ হবে না। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সমাবেশ হবে না।
ভিডিও কনফারেন্সে জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার বলেন, জাতীয় কর্মসূচির সাথে মিল রেখে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কর্মসূচি ঠিক করা হবে। এরমধ্যে ১৬ মার্চ সরকারি-বেসরকারি অফিস আদালত ও বাড়ি ঘরে আলোকসজ্জা, ১৭ মার্চ সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ, কেককাটা, ও রাত ৮টায় আতশবাজি প্রজ্জ্বলন করা হবে। এছাড়া প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ১০০টি কাঁঠাল ও আমগাছের চারা রোপণ করতে হবে।