গাংনী প্রতিনিধি ঃ
মেহেরপুর গাংনী উপজেলার সাহারবাটি চারচারা বাজারে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে। আধিপত্য বিস্তারের জেরে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় এ সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে দু’টি দোকানেও হামলা চানানো হয়।
আহতরা হলেন- সাহারবাটি গ্রামের মনিরুল ইসলাম (৪৫), খলিলুর রহমান (৫০), আমান উদ্দীন (৪০), রবিউল ইসলাম (৪৫), জুয়েল রানা (২৮) ও জান্নাত আলী (৫০) অপর পক্ষের ঠান্ডু মিয়া (৫০), শফিকুল ইসলাম (৫০), রাসেল আহম্মেদ (২২) ও আফাম আলী (২৫)। এদের মধ্যে চারজনকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সাহারবাটি গ্রামের স্বেচ্ছায় রক্তদান ক্লাবের এক সদস্য চার হাজার টাকার বিনিময়ে রক্ত দেয়। বিষয়টি জানাজানি হলে এক ব্যক্তি এ নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়। বিষয়টি নিরসনের জন্য স্থানীয় দু’পক্ষের মধ্যে গতকাল সালিশের প্রস্তুতি চলছিল। শালিসের আগেই গতকাল সন্ধ্যার আগে উত্তেজনা শুরু হলে গাংনী থানার এসআই রেজওয়ান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে তাদেরকে শান্ত করার চেষ্টা করে। উত্তেজিত কয়েকজনকে পুলিশ সরিয়ে বাঙ্গালপাড়ার দিকে নিয়ে যায়। এসময় দু’পক্ষের মধ্যে বিতর্কের জেরে সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে কয়েকজন আহত হয়। বাজার কমিটির সভাপতি ও আওয়ামী লীগ নেতা আতাউর রহমানের টোকনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আশ্রয় নেয় কয়েকজন। এসময় ছাত্রলীগ নেতা টুটুল পক্ষের লোকজন ওই দোকানে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে।
এ প্রসঙ্গে জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি রাকিবুল ইসলাম টুটুল বলেন, শালিসে আমার আব্বাকে ডাকেন হাফিজুর রহমানচেয়ারম্যানের কার্যালয়ে পৌঁছানোর আগেই হাফিজুর ও তার ভাই শফিকুল ইসলামসহ তাদের লোকজন আমার আব্বাসহ পরিবারের কয়েকজনকে মারধর শুরু করে। তারা অতর্কিত হামলা চালিয়ে সালিশ পন্ড করেছে। এখন বিষয়টি ভিন্নখাতে নেওয়ার চেষ্টা করছে।
তবে অভিযোগ মিথ্যা দাবি করেছেন হাফিজুর রহমান পক্ষের লোকজন। তারা টুটুল পক্ষের লোকজনের উস্কানিকে দায়ী করছেন।
গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওবাইদুর রহমান বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এ পর্যন্ত কোন পক্ষই অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।