মুজিবনগরের মতো মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক পর্যটন কেন্দ্র দেশে আর নাই- জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী

মেহেরপুর অফিস ॥ স্বাধীনতার শপথ ভূমি মেহেরপুরের ঐতিহাসিক মুজিবনগরের মত মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক পর্যটন কেন্দ্র দেশের আর কোথাও নাই। তাই জননেত্রী শেখ হাসিনা মুজিবনগরের উন্নয়নে হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। দ্রুত উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন হবে বলে জানালেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ও মেহেরপর জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ফরহাদ হোসেন এমপি। শুক্রবার বিকেলে সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের কুলবাড়ীয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে আয়োজিত গণ সংবর্ধনা ও জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন তিনি। জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী মেহেরপুর জেলা ও দেশের সার্বিক উন্নয়ন তুলে ধরে বলেন, মুজিবনগর বাংলাদেশের প্রথম রাজধানী। এখানে যে স্থাপনাগুলো রয়েছে তার মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষিত হচ্ছে। প্রতিদিন দেশের হাজার হাজার মানুষ এখানে দর্শনের মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে জানতে পারছেন। দর্শনার্থীদের আসা যাওয়ার মধ্য দিয়ে মেহেরপুরের আর্থসামাজিক অবস্থার ব্যাপক পরিবর্তন হবে। আওয়ামী লীগ স্বাধীনতা দিয়েছে, আওয়ামী লীগ সম্মৃদ্ধ দেশ দিচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা সবাই আওয়ামী লীগের পতাকাতলে থাকবো। কারণ জামায়াত- বিএনপির আমলে দেশের কি অবস্থা ছিল তা সকলেরই জানা। মেহেরপুরের এক প্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্ত পর্যন্ত রাত-বিরাতে চলতে আজকে আর কোন ভয় নাই মানুয়ের। আজকে প্রমাণিত হয়েছে মেহেরপুর শান্তির নীড়। একটা সময় ছিল যখন দিনে গরু বিক্রি করলে রাতে বাড়ি থেকে সেই টাকা ডাকাতরা নিয়ে যেতো। সন্ধ্যার পর বাইরে গেলে হিসাব করতে হতো গায়ের উপরে বোমা পড়বে কি না বা চুরি ডাকাতি হবে কিনা। সেই আতংক এখন আর মেহেরপুরে নাই। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের প্রতিটি ইউনিয়ন এমন শান্তির নীড়ে পরিণত হয়েছে আর উন্নয়নে ভুরপুর।
কুতুবপুর ইউনিয়ন প্রাণের সাথে মিশে রয়েছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, মাননীয় প্রধামন্ত্রী আমাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রতিটি স্কুলে নতুন ভবন দিতে হবে। এরই ধারাবাহিকতায় এই কুতুবপুরের স্কুলটিতে নতুন আধুনিক ভবন দেয়া হয়েছে। এমন ভবন অনেক স্কুলেই দেয়া হয়েছে। এছাড়াও ৪৩টি রাস্তা পাকা করা হয়েছে। আগামি এক বছরের মধ্যে এই ইউনিয়নের (কুতুবপুর) কোন রাস্তা কাঁচা থাকবে না বলে ঘোষণা দেন তিনি।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কুতুবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ইদ্রিস আলী মাস্টার। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আব্দুল হালিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. ইব্রাহিম শাহীন, সদর উপজেলা আ.লীগ সাধারণ সম্পাদক বোরহান উদ্দীন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোমিনুল ইসলাম, ইউপি চেয়ারম্যান শাহ জামান, চেম্বার্স অব কমার্স এর সাধারন সম্পাদক আরিফুল এনাম বকুল, জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক সরফরাজ হোসেন মৃদুল প্রমূখ।
কুতুবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক বাবুল আক্তারের সঞ্চালনায় জনসভায় বক্তব্য দেন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক জুয়েল রানা, যুবলীগের সভাপতি হাজী সাইফুল ইসলাম, ইউপি সদস্য সোহেল রানা, মোস্তফ। কামাল। এসময় কুলবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইমদাদুল হক ডাবু, জেলা তাতীলীগের সভাপতি নুর ইসলাম সুবাদ, সাধারন সম্পাদক জুয়েল রানাসহ আওয়ামীলীগ,যুবলীগ, ছাত্রলীগ, তাতীলীগের নেতাকর্মীরাউপস্থিত ছিলেন।