চুয়াডাঙ্গায় বাড়ছে আমবাগন : বাগানে মনভরানো মুকুলের সৌরভ


আনোয়ার হোসেন:
আমবাগানে মুকুলের মনভরানো সৌরভ। গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে মুকুল। মধু নিতে মৌমাছিরও কমতি নেই। দৃশ্য দেখে চুয়াডাঙ্গার আমবাগান মালিক বা আমচাষিদের মধ্যে জেগেছে ভালো ফলনের আশা। অনেকেরই অভিমত, এখনও পর্যন্ত তেমন বৈরী আবহাওয়া লক্ষ্য করা যায়নি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবার চুয়াডাঙ্গায় আমের ফলন বিগতদিনের দস্তাবেজের বর্ণনাকে টপকে যেতে পারে।
ভারত উপমহাদেশে অন্যতম সুস্বাদু ফলের নাম আম। দেশে রাজশাহীর পরই সর্বাধিক আম উৎপাদন হয় বৃহত্তর কুষ্টিয়া অঞ্চলে। মেহেরপুরের পরপরই অবস্থান চুয়াডাঙ্গার। মাটি ও আবহাওয়া অনুকূলে হওয়ায় চুয়াডাঙ্গাতে দিন দিন আমবাগানের সংখ্যা বাড়ছে। গতবার চুয়াডাঙ্গা জেলায় মোট বাগানের পরিমাণ ছিলো ১৭শ ৭৫ হেক্টর জমিতে। চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের হিসেবে এক বছরেই আমবাগানের পরিমাণ চুয়াডাঙ্গায় ১শ ৭৫ হেক্টর বেড়ে মোট দাঁড়িয়েছে ১৯শ ৫০ হেক্টর। চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় ৮শ ৮৫, জীবননগর উপজেলায় ৪শ, দামুড়হুদায় ৩শ ২০ ও আলমডাঙ্গা উপজেলায় ৪শ ৪৫ হেক্টর জমিতে আমবাগান রয়েছে। আমাদের দেশে বেশকিছু আমের জাত রয়েছে যেমন-গোপালভোগ, ল্যাংড়া, হাঁড়িভাঙা, ক্ষীরসাপাতি, হিমসাগর, ফজলি ও আশ্বিনা এসব। চুয়াডাঙ্গাতে বোম্বাই, হিমসাগর, ল্যাংড়া, আমরূপালি, ফোজলি ও আশ্বিনে আম বেশি পাওয়া যায়। তবে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট বারি থেকে এপর্যন্ত ১১টি বিশেষ বিশেষ বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন আমের জাত উদ্ভাবন করেছে। এর মধ্যে বারি আম-২, বারি আম-৩, বারি হাইব্রিড আম-৪ উল্লেখযোগ্য।
চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক মো. আলী হাসান বলেছেন, চুয়াডাঙ্গায় অনেকেই বাণিজ্যিকভাবে আমের আবাদে আগ্রহী হয়েছেন। ফলে দিন দিন চুয়াডাঙ্গায় আমবাগানের পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। শুধু যে আবাদি জমিতে আমবাগান গড়ে তোলা হচ্ছে তাও নয়। বাড়ি আঙিনাসহ যেসব স্থান এমনিতেই পড়ে থাকে সেব জমিতেও আমগাছ লাগানোর প্রবণতা বেড়েছে।