কুষ্টিয়ায় মাকে হত্যার দায়ে ছেলের মৃত্যুদণ্ড

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে মাকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যার দায়ে ছেলেকে মৃত্যুদ-াদেশ দিয়েছেন আদালত।
গতকাল মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক অরূপ কুমার গোস্বামী আসামির উপস্থিতিতে জনাকীর্ণ আদালতে এই রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদ-প্রাপ্ত আসামি জুয়েল সরদার ওরফে জুয়েল রানা কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার আড়িয়া ইউনিয়নের আংদিয়া এলাকার আজিজুল সরদারের ছেলে।
আদালতসূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর দুপুরে আসামি জুয়েল সরদার, তার মা বানেরা খাতুনের সাথে পারিবারিক কলহ সৃষ্টি করে। এক পর্যায়ে আসামি জুয়েল তার মায়ের ওপর উত্তেজিত হয়ে প্রথমে ধারালো হেসো দিয়ে মুখে, নাকে, ঘাড়ে, ডান হাতের বাহুতে, বাম হাতের কনুইতে কুপিয়ে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করতে থাকলে হেসো ভেঙে যায়। পরবর্তীতে কোদালের ধারালো পাশ দিয়ে মুখম-লের ওপর উপর্যুপরি কুপিয়ে গুরুতর রক্তাক্ত কাটা জখম করে নৃশংসভাবে হত্যা করে দ্রুত পালিয়ে যায়। ঘটনার পরদিন জুয়েলকে একমাত্র আসামি করে দৌলতপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন জুয়েলের পিতা আজিজুল সরদার।
মামলাটি তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি হত্যাকা-ের দায়ে অভিযোগ এনে দ.বি. ৩০২ধারায় আদালতে চার্জশিট দেয় পুলিশ। পরে একই বছরে ১৯ জুনে অভিযোগ গঠন পূর্বক সাক্ষ্য শুনানি ও বিচার কার্য শুরু করেন আদালত।
রাষ্ট্রপক্ষের কৌশুলি অ্যাড. অনুপ কুমার নন্দী জানান, নিজ মা’কে নির্মমভাবে হেসো এবং কোদাল দিয়ে কুপিয়ে হত্যার মতো হৃদয়স্পর্শী ঘটনা বিজ্ঞ আদালতকেও নাড়া দিয়েছে। এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের ১৫ জন সাক্ষির সাক্ষ্য শুনানি শেষে নিহত মা বানেরা খাতুনের ছেলে আসামি জুয়েল রানার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীত প্রমাণিত হওয়ায় হত্যার দায়ে সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদ-ের রায় দিয়েছেন আদালত।