বিদেশ থেকে কাঁচা ও প্লাাস্টিকের ফুল আমদানি বন্ধের দাবি

চুয়াডাঙ্গা ও জীবননগরে ফুল ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির মানববন্ধন কর্মসূচি

স্টাফ রিপোর্টার: বিদেশ থেকে কাঁচা ও প্লাাস্টিকের ফুল আমদানি বন্ধের দাবিতে চুয়াডাঙ্গায় মানববন্ধন করেছে ফুল ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি। সারা দেশের সাথে একযোগে গতকাল শনিবার বিকেল ৪টার দিকে চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের সড়ক বিভাগের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। মানববন্ধনে উপস্থিত ফুল ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন, ১৯৮৭ সাল থেকে বাংলাদেশে বাণিজ্যিকভাবে ফুল শিল্পের যাত্রা শুরু হয়। বর্তমানে ফুল শিল্পে প্রায় ৩০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থানসহ বাৎসরিক ১২০০ কোটি টাকার অভ্যন্তরীণ ফুলের বাজার তৈরি হয়েছে। বর্তমানে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ যখন ফুল রপ্তানি করে তাদের রাজস্ব আয় বাড়াচ্ছে। ঠিক সে সময় কাঁচাফুলে ভাইরাসের উপস্থিতির গুজব ছড়িয়ে বিদেশ থেকে কাঁচা ও প্লাস্টিক ফুল আমদানি করে বাংলাদেশের ফুল শিল্পকে ধ্বংসের পাঁয়তারা করছে একটি কুচক্রীমহল। এ দাবিগুলো হলো- নভেল করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের ঝুঁকিতে থাকা চীন থেকে কাঁচা ফুল ও প্লাস্টিকের ফুল আমদানি বন্ধ করতে হবে। দেশের ফুল শিল্পকে রক্ষার ক্ষেত্রে বিদেশ থেকে কাঁচা ও প্লাস্টিক ফুল আমদানি বন্ধ করতে হবে। দেশের ফুল শিল্পকে প্রসারের লক্ষে কীটনাশক ও আনুষাঙ্গিক কৃষি উপকরণ সহজলভ্য করতে হবে। বিদেশি দুতাবাসগুলোর মাধ্যমে বাংলাদেশের কাঁচা ফুল সম্পর্কে ব্যাপক প্রচারণার মাধ্যমে ফুল রপ্তানির সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। এছাড়াও দেশের উৎপাদিত কাঁচা ফুল সুষ্ঠু বিপণনের জন্য ঢাকায় কেন্দ্রীয় পাইকারি ফুলের বাজার স্থাপনের দাবি জানান বক্তারা। এ সময় ফুল ব্যবসায়ী সমিতির নেতা আলম ম-লসহ স্থানীয় ফুলচাষি ও ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।
জীবননগর ব্যুরো জানিয়েছে, দেশীয় ফুল চাষিদের রক্ষা করতে ভারত, চীন ও থাইল্যান্ড থেকে কাঁচা ও তাজা এবং প্লাস্টিকের ফুল আমদানি নিষিদ্ধকরণের দাবিতে জীবননগরে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। গতকাল শনিবার জীবননগর বাসস্ট্যান্ড চত্বরে উপজেলা ফুলচাষি সমিতি এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে।
জীবননগর উপজেলা ফুলচাষি সমিতির সভাপতি আনারুল ইসলামের সভাপতিত্বে মানববন্ধন শেষে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশ হতে দেশীয় ফুলচাষিদের রক্ষা করতে অবিলম্বে বিদেশ হতে তাজা ও প্লাস্টিক ফুল আমদানি নিষিদ্ধ করতে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি কামনা করে বলা হয় বিদেশ থেকে কাঁচা ও প্ল-াস্টিকের ফুল আমদানি করায় দেশীয় ফুল শিল্প ধ্বংসের মুখে পড়েছে। দীর্ঘ ৩৩ বছরে ঘাত-প্রতিঘাতে দেশে ফুলচাষি ও ব্যবসায়ীদের যৌথ সংগ্রামে বর্তমান ফুল শিল্পে ৩০ লক্ষ লোকের কর্মসংস্থান সম্ভব হয়েছে। বিদেশে বাংলাদেশি ফুল রপ্তানির সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে ও ফুল বিপণনের জন্য ঢাকায় কেন্দ্রীয় ফুলের পাইকারী বাজার স্থাপনের জন্য সরকারের কাছে আহ্বান জানিয়ে মানববন্ধনকারীদের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে বক্তব্য রাখেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল লতিফ অমল ও চুয়াডাঙ্গা জেলা বাংলাদেশ জাসদের সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম। এছাড়াও উপজেলা ফুল চাষি সমিতির সহসভাপতি মামুন মিয়া ও সদস্য হারুন অর রশিদ বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন উপজেলা ফুলচাষি সমিতির সাধারণ সম্পাদক রেজাউল ইসলাম ডিটু।