প্রাণ ও প্রকৃতিতে ফুলের আবির নিয়ে এলো বসন্ত

 

মাজেদুল হক মানিক: জীর্ণতা কাটিয়ে গাছে গাছে কচি পাতায় নবপ্রজন্মের ডাক। ফুলের রস আহরণে মাতোয়ারা কীটপতঙ্গ আর পাখিকুল। দক্ষিণা হাওয়ায় পুলকিত শিহরণে মানুষের মন। সুরেলা কণ্ঠে প্রিয়াকে ডেকে আকুল কোকিল। প্রাণ ও প্রকৃতিতে এমনই আবির নিয়ে আজ দুয়ারে কড়া নাড়ছে ঋতুরাজ বসন্ত।

বসন্ত নিয়ে অনেক কবি লিখেছেন গান, গল্প, উপন্যাস ও কবিতা। বিভিন্ন বয়সী মানুষের মাঝে বসন্ত নিয়ে উচ্ছাস ও উদ্দীপনার শেষ নেই। নিজের মতো করেই বসন্ত উদযাপন করে প্রকৃতি ও মানুষ। এদিনে ভালোবাসার মানুষকে কাছে পেতে দূর-দুরান্ত থেকে ছুটে আসে প্রেমিক অথবা প্রেমিকা। নানান বর্ণিল সাজে সজ্জিত হয়ে গোলাপসহ নানা না জানা ফুলে নিয়ে জানায় অভিবাদন ও ভালোবাসা।

ফাগুনে আগুন নিয়ে আসে কৃষ্ণচূড়া আর শিমুল। পাখ পাখালি ঋতুরাজ বসন্তে পায় নতুন ছোয়া। বিশেষ করে গাছে গাছে ফুলের সমারোহ পাখিকুলকে ব্যস্ত করে রাখে।

গাছগাছালির ছায়াঘেরা মেহেরপুর জেলায় বসন্তের আগমনী বার্তা সারা দেশের মতই ভিন্ন কিছু নয়। প্রকৃতিতে ফুলের নানা আবির মনের গহীনের সুপ্ত বাসনায় প্রাণের দোলা দেয়। এমনই অনুভূতি প্রকাশ করলেন অনেকে।

বসন্ত নিয়ে ভিন্ন মতও রয়েছে অনেকের মনে। নামপ্রকাশ না করার শর্তে একজন চাকরিজীবী নারী বলেন, ছোটবেলায় যখন স্কুল কলেজে পড়তাম তখন বাসন্তি শাড়ি পরে যেতাম তখন অনেক সুখ অনুভূত হতো। এখন কর্মজীবন বসন্ত নিয়ে আমার কোনো অনুভূতি নেই। বসন্তে নতুন কিছু হয় না। কর্মজীবনের প্রতিটি দিনই ব্যস্তময় আর ঝামেলাপূর্ণ। তারপরও বাঙালি বলে কথা। বসন্ত সবার জীবনে নতুন ছোয়া দিয়ে যাবে বলে বিশ্বাস করি।

কবি ফররুখ আহম্মেদ কবিতায় লিখেছেন ‘ফাগুনে শুরু হয় গুনগুনানি, ভোমরটা গায় গান ঘুম ভাঙানি।’ সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের ‘ফুল ফুটুক না ফুটুক আজ বসন্ত’ বহুল প্রচলিত এই বাক্যের সাথেই একাত্ম হয়ে বসন্ত উদযাপন হোক মানুষের কল্যাণে এমনই প্রত্যাশা সকলের।