খালেদাকে বিদেশে নিতে লিখিত আবেদন করেছে পরিবার
স্টাফ রিপোর্টার: খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়টি আইনের নয় বলে মন্তব্য করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, খালেদা জিয়াকে কারাবন্দী রাখা বা মুক্তি দেয়ার ব্যাপারে সরকারকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। বুধবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন মির্জা ফখরুল। অপরদিকে দুই বছর যাবত কারাগারে থেকে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়া ৭৫ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিয়ে উন্নত চিকিৎসা করাতে চান তার পরিবার।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়টি আইনের নয়। তাকে বেআইনীভাবে, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে আটক রাখা হয়েছে। সিদ্ধান্তটা রাজনৈতিক। এই সরকারকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, বেগম খালেদা জিয়াকে আটক রাখবে নাকি সুষ্ঠু পরিবেশ ও গণতন্ত্রের জন্য মুক্তি দেবে। মির্জ ফখরুল আরও বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য নিয়মতান্ত্রিকভাবে সব পদ্ধতিতেই চেষ্টা চলছে। এখন জনগণকে সঙ্গে নিয়েই দেশনেত্রীকে মুক্ত করার চেষ্টা করবো আমরা। খালেদা জিয়াকে যে মামলায় সাজা দেয়া হয়েছে, তাতে যে কারও জামিন পাওয়ার সাংবিধানিক অধিকার রয়েছে। কিন্তু তা থেকে তাকে বঞ্চিত করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের বেআইনি কাজ ও অগণতান্ত্রিক রাজনীতিকে ধ্বংস করে দেয়ার কৌশল নস্যাৎ করে দিতে জনগণকে সামনে এগিয়ে আসতে হবে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মেয়াজ্জেম হোসেন, খায়রুল কবির, হাবিবউন নবী খান প্রমুখ। বেগম জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার তাদের পরিবারের পক্ষ থেকে সর্বাধুনিক সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে তাকে বিদেশ প্রেরণের নিমিত্তে মেডিকেল বোর্ডের সুপারিশ চেয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল (বিএসএমএমইউ) কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছেন। খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর জন্য তার পরিবারের পক্ষ থেকে এটাই প্রথম লিখিত আবেদন।
অপরদিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে আবেদন করে শামীম ইস্কান্দার বলেছেন, ‘খালেদা জিয়ার দ্রুত অবনতিশীল স্বাস্থ্যের পরিপ্রেক্ষিতে যেকোনো অপূরণীয় ক্ষতি এড়াতে আধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্বলিত বিদেশি হাসপাতালে দ্রুত চিকিৎসা প্রয়োজন।’ খালেদা জিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে ব্যয় বহন করে এবং তাদের দায়িত্বে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা নেয়ার ক্ষেত্রে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে এই আবেদনে। এই আবেদন বিবেচনা করা হবে বলে আশা করছেন খালেদা জিয়ার পরিবার। আবেদন প্রসঙ্গে খালেদা জিয়ার বোন সেলিমা ইসলাম বলেন, ‘মেডিকেল বোর্ড যেনো বিদেশে চিকিৎসার ব্যাপারে সরকারকে সুপারিশ করে সেজন্য তাদের এই আবেদন। আবেদনে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিতে চেয়েছি। আর বলেছি যে, উনাকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে। কারণ এটা সম্পূর্ণ সাজানো মিথ্যা মামলা। সেজন্য আমরা নিঃশর্ত মুক্তি চেয়েছি।’