জীবননগরের আন্দুলবাড়িয়ায় শ্রী শ্রী তারকব্রহ্ম নামযজ্ঞানুষ্ঠানের উদ্বোধনকালে এমপি টগর

বর্তমান সরকার ধর্ম নিরপেক্ষতার আলোকে কাজ করছে
আন্দুলবাড়িয়া প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য হাজি আলী আজগার টগর বলেছেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিলো ৭২’র সংবিধান বাস্তবায়ন করে ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রপ্রতিষ্ঠা করা। স্বাধীনতাবিরোধী একটি কুচক্রী মহল ৭৫ সালে তাকেসহ স্বপরিবারে হত্যা করার পর আমাদের সেই লালিত স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে দেয়নি। আমরা ক্ষমতায় আসার পর ধর্ম নিরপেক্ষতার আলোকে কাজ করছি। যেখানে যার যার ধর্ম সে সে পালন করবে। তিনি গতকাল সোমবার বিকেল ৪টায় জীবননগরের আন্দুলবাড়িয়ার কর্চ্চাডাঙ্গা মহাশ্মশান উন্নয়ন কমিটি আয়োজিত মাঘীপূর্ণিমা উপলক্ষে ২৩তম ৮ম প্রহরব্যাপী শ্রী শ্রী তারকব্রহ্ম নামযজ্ঞানুষ্ঠানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। মহাশ্মশান উন্নয়ন কমিটির সহ-সভাপতি শ্যামল কুমার ঘোষের সভাপতিত্বে তিনি আরও বলেন, ৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান সম্প্রদায় ঐক্যবদ্ধভাবে যুদ্ধে অংশ নিয়ে দেশ স্বাধীন করেছে। তখন কে হিন্দু, কে মুসলিম, কে খ্রিষ্টান এ ভেদাভেদ ছিলো না। আমরা বীরের জাতি, আমরা এ দেশকে একটি অসম্প্রদায়িক চেতনার রাষ্ট্র হিসেবে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চায়। যেখানে জাতিগত কোনো বিভেদ থাকবে না। তিনি উপস্থিত জনতাকে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ঐক্যপরিষদর নেতৃবৃন্দের দাবির প্রেক্ষিতে বলেন, আগামী সংসদে উপজেলা ভিত্তিক একটি কেন্দ্রীয় মন্দির নির্মাণ করার জন্য জাতীয় সংসদে দাবি তুলে ধরা হবে। মুজিববর্ষ পালনের মধ্যদিয়ে ৪১ সালের মধ্যে এ দেশকে একটি উন্নতশীল দেশ হিসেবে গড়ে তোলা হবে। বিশেষ অতিথি হিসেবে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন জীবননগর উপজেলা আ.লীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান গোলাম মর্তুজা, জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম, আন্দুলবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি শেখ শফিকুল ইসলাম মোক্তার, রায়পুর ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মির্জা তাহাজ্জত হোসেন, শ্মশান উন্নয়ন কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিন্দা ভৌমিক, যুবলীগ নেতা হাফিজুর রহমান প্রমুখ। অন্যানদের মধ্যে আন্দুলবাড়িয়া ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ মহিদুল ইসলাম মধু, জীবননগর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বিজয় হালদার, সাবেক যুবলীগ নেতা মির্জা হাবিবুর রহমান লিটন, শেখ ফিরোজ হোসেন, দফতর সম্পাদক শেখ আতিয়ার রহমান, শেখ নাজের আলী, দেবেন হালদার, অশোক অধিকারীসহ আ.লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও হিন্দু সম্প্রদায়ের বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি উপস্থপনা করেন সাংবাদিক নারায়ণ ভৌমিক।