স্বামী ও মেয়েসহ মাদকসম্রাজ্ঞী মিনি গ্রেফতার ॥ মানিলন্ডারিং মামলা

আলমডাঙ্গায় ঢাকা সিআইডি পুলিশের ইকোনমিক ক্রাইমের বিশেষ অভিযান

 

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা স্টেশন এলাকার চিহ্নিত মাদককারবারী মিনি ও তার স্বামীসহ মেয়েকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গত পরশু রাতে এদেরকে গ্রেফতার করা হয়। একই পরিবারের ৩ মাদকব্যবসায়ীকে মানিলন্ডারিং মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

জানা গেছে, ৮ ফেব্রুয়ারি দিনগত রাতে ঢাকা সিআইডি পুলিশের ইকোনমিক ক্রাইম (অর্গানাইজড ক্রাইম)’র এসআই অনুপ কুমার দাশ ও এসআই সিদ্ধার্থ সমাদ্দার সঙ্গীয় ফোর্সসহ অভিযান চালিয়ে আলমডাঙ্গা স্টেশনপাড়ার চিহ্নিত মাদকব্যবসায়ী মিনি খাতুন (৪৫), মিনি খাতুনের স্বামী আমিরুল ইসলাম ওরফে আলাউদ্দীন (৫০) ও তাদের মেয়ে আলোমতিকে (৩২) গ্রেফতার করে। পরদিন ৯ ফেব্রুয়ারি সকালে তাদেরকে মানিলন্ডারিং মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে চুয়াডাঙ্গা জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রেরণ করে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়।

ইতোপূর্বে ঢাকা সিআইডি পুলিশের ইকোনমিক ক্রাইম (অর্গানাইজড ক্রাইম)’র এসআই অনুপ কুমার দাস বাদী হয়ে গত ৮ ফেব্রুয়ারি দুপুরে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ (সংশোধনী ২০১৫) এর ৪ (২) ধারায় মিনি, তার স্বামী আমিরুল ইসলাম ওরফে আলাউদ্দীন এবং তাদের দুই মেয়ে আলোমতি ও মায়া খাতুনের বিরুদ্ধে এজাহার দায়ের করেন।

আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ আশিকুর রহমান জানান, আলমডাঙ্গা থানায় গ্রেফতার হওয়া মিনির নামে ১১টি, আলাউদ্দীনের নামে ৫টি, আলোমতির নামে ৭টি মাদক মামলা রয়েছে।

সিআইডি’র ইকোনমিক ক্রাইম (অর্গানাইজড ক্রাইম)’র এসআই অনুপ কুমার দাস জানান, ২০১১ সাল থেকে গ্রেফতারকৃত মিনি, তার স্বামী আমিরুল ইসলাম ওরফে আলাউদ্দীন, তাদের ২ মেয়ে আলোমতি ও মায়া খাতুন আলমডাঙ্গাসহ আশপাশের জেলায় মাদক ব্যবসা করে আসছে। মাদক ব্যবসার টাকায় অবৈধভাবে নিজেদের ও নিকট আত্মীয়দের নামে বেনামে সম্পদ গড়ে তুলেছে।

এলাকাসূত্রে জানা গেছে, আলমডাঙ্গা এলাকার সবচে’ বড় ও প্রভাবশালী মাদকব্যবসায়ী মিনি-আলাউদ্দীন সিন্ডিকেট যা মিনি সিন্ডিকেট নামে পরিচিত। মিনি, মিনির স্বামী আলাউদ্দীন, মিনির মেয়ে আলো, আলোর স্বামী রুবেল, মিনির আরেক মেয়ে মায়া, আরেক মেয়ে মুন্নি, মুন্নির স্বামী রেজাউল, মিনির বোন কুটি, কুটির স্বামী সামাদ, মিনির মা ফাহিমাসহ প্রায় ১৭-১৮ জন মাদকব্যবসায়ী জড়িত এই সিন্ডিকেটে। আলমডাঙ্গা শহরে কয়েকটি ফ্ল্যাটসহ শহর সংলগ্ন মাঠে মিনি-আলাউদ্দীনসহ তাদের আত্মীয়স্বজনের নামে কয়েক কোটি টাকার জমি কেনা হয়েছে বলে শহরে বহুল কথিত। সিআইডির প্রাথমিক তদন্তেও অবৈধভাবে তাদের সম্পদ আহরণের বিষয়টির প্রমাণ মিলেছে।