জীবননগরে আত্মীয় বাড়িতে এসে মহেশপুরের মাদক মামলার আসামি খলিলের আত্মহত্যা

জীবননগর ব্যুরো: আদম ব্যবসায় বিপর্যয় ও মহেশপুর থানার মাদক মামলার পলাতক খলিলুর রহমান (৪০) পুলিশি গ্রেফতার এড়াতে জীবননগর লক্ষ্মীপুরে ধর্ম আত্মীয় বাড়িতে এসে আত্মহত্যা করেছেন। গত শুক্রবার রাতে তিনি আত্মহত্যা করেন। গতকাল শনিবার ঘুম থেকে উঠতে দেরি হওয়া দেখে ধর্ম আত্মীয় জসিম উদ্দিন তার রুমের জানালায় উঁকি দিয়ে দেখতে পান খলিল ফ্যানের সাথে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। জীবননগর থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা মর্গে প্রেরণ করে।
পুলিশ ও পারিবারিকসূত্রে জানা যায়, ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার সামন্তা চারাতলাপাড়ার মৃত আহাম্মদ আলীর ছেলে খলিলুর রহমান একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। এছাড়াও তিনি আদম ব্যবসাও করে থাকেন। মাদকব্যবসায়ী হিসেবে মহেশপুর থানায় তার বিরুদ্ধে দুটি মামলা রয়েছে। এছাড়াও বিদেশে আদম পাঠাতে গিয়েও তিনি অসফল হন। ফলে বিদেশে যেতে নানা পারায় অনেকেই তার নিকট পাওনা টাকা ফেরত চাচ্ছিলেন। এ অবস্থায় পুলিশ ও পাওনাদারদের ভয়ে গত ৬ মাস ধরে খলিল পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন। বিভিন্ন আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে তিনি রাত কাটাচ্ছিলেন। সর্বশেষ গত শুক্রবার জীবননগর উপজেলার লক্ষ্মীপুর গ্রামের ধর্ম আত্মীয় জসিমের বাড়িতে এসে ওঠেন। রাতে খাওয়া-দাওয়ার পর তিনি ঘুমিয়ে পড়েন। সকালে ঘুম থেকে উঠতে দেরি হওয়া দেখে জসিম উদ্দিন তার ঘরের জানালায় উঁকি দিয়ে দেখতে পান খলিল সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
গৃহকর্তা জসিম জানান, খলিল প্রায়ই তার বাড়িতে এসে রাত যাপন করতো। কি কারণে আত্মহত্যা করেছে তা তিনি বলতে পারেনি। খলিলের স্ত্রী পারভীনা খাতুন জানান, থানায় মামলা আর পাওনা দারের ভয়ে তিনি বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন। পুলিশি গ্রেফতার এড়াতে ও পাওনাদারদের হাত থেকে বাঁচতে তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা করছেন তিনি। জীবননগর থানার ওসি (তদন্ত) ফেরদৌস ওয়াহিদ জানান, খলিলের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে এবং সে অনুযায়ী আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।