চুয়াডাঙ্গায় ডেগার মেরে দুজনকে জখম : আটক ৩

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরে এক যুবকসহ দুজনকে ডেগার মেরে জখম করা হয়েছে। জেলা শহরের টিঅ্যান্ডটির সামনে গতরাতে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন আরামপাড়ার মৃত রেজাউল হকের ছেলে রুস্তম আলী বুদো ও একই পাড়ার কামরুল হাসানের ছেলে মনিরুল ইসলাম অনিক। এ ঘটনায় পরপরই পুলিশ দক্ষতার সাথে তিন যুবককে আটক করেছে। আটককৃত তিনজন হলেন আরামপাড়ার মৃত আজিজের ছেলে রাজিব আলী, জোয়ার্দ্দারপাড়ার মুুনতাজ আলীর ছেলে বাবুল হোসেন বাবন ও ইসলামপাড়ার মৃত আবদুস সামাদের ছেলে তরিকুল ইসলাম।

পুলিশ ও এলাকাসূত্রে জানা গেছে, গতকাল শনিবার রাত সোয়া ৮টার দিকে চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের টিঅ্যান্ডটি অফিসের গেটের সামনে থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় দুজনকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রুস্তম আলী বুদোর মাথায় ও মনিরুল ইসলামের হাতসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের ক্ষত রয়েছে। রুস্তম আলীর মাথায় বেশ কয়েকটি সেলাই দিতে হয়েছে। এছাড়া মনিরুলের বাম চোখের কাছে দুটি ক্ষতস্থানে ১২টি সেলাই দিতে হয়েছে। তার ডান হাতের তালুতে ১২টি ও মাথার পেছন দিকে কয়েকটি সেলাই দেয়া হয় বলে তার নিকটজনরা জানান। জখম রুস্তম আলী বুদো অভিযোগ করে বলেন, ‘আমাদের এলাকার ইমরান নামের একজনের সাথে একই এলাকার রাজিবের দ্বন্দ্ব ছিলো। এরই জের ধরে শনিবার রাত সোয়া ৮টার দিকে টিঅ্যান্ডটির সামনের একটি চায়ের দোকানে এসে আমাদের ওপর রাজিব, বাবন ও তরিকুল ডেগার নিয়ে আচমকা হামলে পড়ে। তারা আমাদের শরীরে উপর্যুপরি ডেগার মেরে সটকে পড়ে। পরে এলাকার লোকজন আমাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেন। পরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) কানাই লাল সরকার হাসপাতালে গিয়ে আহতদের মুখে ঘটনার বর্ণনা শোনেন। এরপর রাতেই আহতদের দেখতে হাসপাতালে যান চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরী জিপুসহ নেতৃবৃন্দ।

এ ব্যাপারে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি এএইচএম লুৎফুল কবীর মাথাভাঙ্গাকে বলেন, আমরা ঘটনা শোনার পরপরই খোঁজ খবর নিতে থাকি। পরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) কানাই লাল সরকার স্যারের নেতৃত্বে অভিযুক্ত তিনজনকে আটক করেছি। তাদের থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এখনো মামলা হয়নি। কেউ মামলা করলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।