স্টাফ রিপোর্টার: শেষ পর্যন্ত মেয়ের বাড়ি থেকে ছাগলটি উদ্ধার করে দিয়েই বৃদ্ধার কান্না থামালেন চুয়াডাঙ্গা সদর থানার এএআই রাসেল। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বৃদ্ধা বিউটি বেগম সদর থানার কর্তব্যরত অফিসারের কক্ষের সামনে পৌঁছে অনবরত কাঁদতে থাকেন। তখন কর্তব্যরত অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন এসআই আহসানুর রহমান। তিনিই তখন বিষয়টি ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে এএসআই রাসেলকে বিষয়টি দেখার জন্য বলেন।
কেন কাঁদছেন? প্রশ্ন তুলতেই তিনি বলেন, ‘আমার একমাত্র শখের ছাগলটি নিয়ে গেছে আমারই মেয়ে যামাই। ওই ছাগল না এনে দাও, না হলে আমাকে গুলি করে মেরে ফেলো।’ একথা শুনে পুলিশ বৃদ্ধাকে কান্না থামাতে অনুরোধ করেও যখন সাড়া পালেন না, তখন সদর থানার এএসআই রাসেল সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে বৃদ্ধার সাথে পৌঁছুলেন তার বাড়ি সাতগাড়ি। বিস্তারিত শুনলেন। প্রতিবেশীরা বললেন, ওই বৃদ্ধা পরের বাড়ি ঝিয়ের কাজ করে কোনোরকম খেয়ে পরে বেঁচে আছেন। আর ওই ছাগলটাই সম্বল। সন্তানের মতো করেই পালন করেন ছাগলটাকে। ওরই পালিত মেয়ে একই গ্রামের বাসিন্দার বাড়িতে গিয়ে পাওয়া যায় ছাগলটি। ওই ছাগল উদ্ধার করে বৃদ্ধার কাছে দেয়ার পরই তার কান্না থামে। শেষ পর্যন্ত পুলিশের এ পদক্ষেপে খুশি হয়ে কিছু টাকাও দিতে চান মিষ্টি খাওয়ার জন্য। পুলিশ তা না নিয়ে বুঝিয়ে সুজিয়ে যখন বাড়ি ফিরান, তখন বৃদ্ধার চোখে মুখে ছিলো স্বস্তির ছাপ। মৃদু হাসি।