চুয়াডাঙ্গায় ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা স্যার ফজলে হাসান আবেদ’র মৃত্যুতে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত

স্টাফ রিপোর্টার: ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা স্যার ফজলে হাসান আবেদের মৃত্যুতে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে শহরের বাসটার্মিনাল চেম্বার ভবনে এ স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়। বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ব্র্যাকের আয়োজনে অনুষ্ঠিত স্মরণসভায় প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ ইয়াহ ইয়া খান।
স্মরণসভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) কানাই লাল সরকার উপস্থিত ছিলেন। ব্র্যাকের জেলা সমন্বয়কারী ফারুক আহমদের সঞ্চালনায় ও সভাপতিত্বে ব্র্যাক কর্মকর্তা শফিউল ইসলাম, ব্র্যাকের সাবেক কর্মী আব্দুস সালাম ও শিউলি আক্তার বক্তব্য রাখেন।
স্মরণসভায় স্যার ফজলে হাসান আবেদের মৃত্যুতে দাঁড়িয়ে ১মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। তিনি ১৯৩৬ সালে মৌলভীবাজারে জন্মগ্রহণ করেন এবং ২০১৯ সালের ২০ ডিসেম্বর মৃত্যুবরণ করেন। ফজলে হাসান আবেদ ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা ও ২০১৯ সাল পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারপারসন ছিলেন। স্মরণসভায় ফজলে হাসান আবেদের ওপর ভিডিওচিত্র প্রদর্শন, আবৃত্তি পাঠ ও রবীন্দ্র পড়াশুনার ওপর স্মৃতিপাঠ করা হয়। বর্তমানে ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আশিক সালেহের ব্র্যাকের পরিকল্পনা নিয়ে কথা শুনানো হয়। ১ লাখ কর্মী কিভাবে আগামীদিনগুলো চলবে সে বিষয়ে ফজলে হাসান আবেদের পরিকল্পনার কথা বলেন তিনি। এ সময় খাসকররা গণকেন্দ্রের শিল্পী রজনী খাতুন, সুস্মিতা জোয়ার্দ্দার ও সানজিদা সুলতানা আঁখি রবীন্দ্র সঙ্গীত পরিবেশন করে। শেষে শপথবাক্য পাঠ করান সিনিয়র ফিল্ড অফিসার আবুল কালাম আজাদ।
স্মরণসভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ ইয়াহ ইয়া খান বলেন, ব্র্যাকের মাধ্যমে বাংলাদেশের উন্নয়নে তার স্বীকৃতির চেষ্টা করেছেন। তার মৃত্যু বিজয় দিবসের আনন্দ মøান করে দিয়েছে। হৃদয়ে দাগ কেটেছে। বাংলাদেশ একজন নক্ষত্র হারিয়েছে। তার জীবনকালে যা করেছেন তা আমাদের জন্য অনুপ্রেরণা। ভবিষ্যত প্রজন্ম জানতে পারবে। বাংলাদেশের উন্নয়নে সূচনা করেছেন। তিনি চাকরি ছেড়ে দেশের উন্নয়নে কাজ করেছেন। সরকারের সাথে নারীর ক্ষমতায়ন ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠাসহ বহুমুখী ক্ষমতার অধিকারী ছিলেন তিনি। বিশ্বের দরবারে পরিচিত করতে পেরেছেন ফজলে হাসান আবেদ। আমি মনে করি তিনি একজন মহামানব।